ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টসহ একাধিক রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে আমলকি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তবে অধিক আমলকি গ্রহণে দেহে কিছু জটিলতা দেখে দেয়।
মূলত আমলকি চিবিয়ে খাওয়াই ভালো। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১-২টি আমলকি খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। তবে দিনে দু’একটির বেশি আমলকি খাওয়া উচিত নয়। এতে প্রচুর পরিমাণে ‘ভিটামিন সি’ কোষ্ঠকাঠিন্যর কারণ হতে পারে।
সার্জারি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আমলকি খাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে। অন্তঃসত্ত্বা বা যারা বাচ্চাকে স্তন্যপান করাচ্ছেন, তাদেরও আমলকি এড়িয়ে যাওয়া ভালো।
এছাড়াও এটি হার্টের জন্য ক্ষতিকর। আমলকি হার্টের শক্তিশালী গ্রন্থি ‘কার্ডিওভাসকুলার’ উদ্দীপক। তবে আমলকি হার্টে কোন কঠোর প্রভাব ফেলে না। বিশেষজ্ঞদের মতে কার্ডিয়াক সম্পর্কিত কোন সমস্যা থাকলে এই ফলটি ব্যবহার করার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
খুব কম লোকেরই আমলকির প্রভাবে অ্যালার্জি হতে পারে। অত্যধিক খাওয়ার ফলে পাকস্থলীর কৃমি, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, পেটের ব্যথাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে।
আমলকি শরীরের তাপমাত্রা অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। ঠান্ডা লাগতে পারে ফলটি অধিক পরিমাণে খেয়ে ফেললে জ্বর-সর্দি হতে পারে। সর্দি বা কাশিতে ভুগলে খাদ্য তালিকা থেকে আমলকি বাদ দেওয়া উত্তম।