মেহেরপুরের কৃতি সন্তান মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল্লাহ আল আমিন অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেছেন। আবদুল্লাহ আল আমিন ১৯৭৩ সালের ১ জানুয়ারি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আকবর হায়দার ও জাহানারা বেগম দম্পতির সন্তান। তিনি একাধারে লেখক, লোক গবেষক, প্রাবন্ধিক, সাহিত্যিক হিসেবে ব্যাপক পরিচিত।
আবদুল্লাহ আল আমিন ১৯৮৭ সালে গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এস এস সি, ১৯৮৯ কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি, ১৯৯২ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স, ১৯৯৩ সলে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
আবদুল্লাহ আল আমিন ১৮ তম বিসিএ এর মাধ্যমে প্রভাষক হিসাবে মেহেরপুর সরকারি কলেজে শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন। তিনি চুয়াডাঙ্গা সরকারি মহিলা কলেজ দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে সহকারী অধ্যাপক। এবং ২০১৪ বগুড়া শাহ সুলতান কলেজে কর্মরত অবস্থায় সহযোগী অধ্যাপক হিসাবে পদোন্নতি পান। পরে সেখান থেকে মেহেরপুর সরকারি কলেজে দীর্ঘদিন চাকরি করার পর সম্প্রতি তিনি উপাধাক্ষ হিসেবে মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজে যোগদান করেন। এবং সেখানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সোমবার তিনি অধ্যাপক হিসাবে পদোন্নতি লাভ করেন।
১ পুত্র ও ১ কন্যা সন্তানের জনক আবদুল্লাহ আল আমিনের পিতা আকবর হায়দার এবং পিতামহ বানি আমিন বিশ্বাস শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। শিক্ষক পরিবারের এই কৃতি সন্তান অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করায় বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে তাকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।
তিনি মূলত প্রাবন্ধিক ও অনুসন্ধিৎসু গবেষক। সমাজ-সংস্কৃতিমনস্ক ও ঐতিহ্যসন্ধানী। তাঁর চর্চা ও অনুসন্ধিৎসার বিষয় সাহিত্য-ব্যক্তিত্ব, আঞ্চলিক ইতিহাস, লোকধর্ম ও লোকজ সংস্কৃতি। গবেষক হিসেবে কাজ করেছেন বাংলা একাডেমি ও এশিয়াটিক সোসাইটিতে। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ : আজাদ শাহের পদাবলী (২০০৯), ব্রাত্যজনের রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ (২০১২), বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি : মেহেরপুর (২০১৩) ধর্মনিরপেক্ষতা ও বাঙালির সম্প্রীতি সাধনা ও ভাটপাড়া নীলকুঠি ও উনিশ শতকের বাংলাদেশ।