দেশে প্রথম ১৪ টি ইন্টারনেট প্রটোকল টেলিভিশনকে (আইপি টিভি) নিবন্ধনের অনুমতি দিয়েছে সরকার। সোমবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আনিশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান মেহেরপুর প্রতিদিন ও সাপ্তাহিক ঢাকা থেকে এই দুটি গণমাধ্যম এর সাথে যুক্ত হলো রাজধানী টিভি। বর্তমানে স্যাটেলাইট টিভির পাশাপাশি আইপিটিভিও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
বাংলাদেশে আইপিটিভি ব্যপকভাবে শুরু না হলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে স্যাটেলাইট টিভির চেয়েও অনেক বেশি জনপ্রিয় আইপি টিভি। এর অন্যতম কারণ হলো, ইন্টারনেট সুবিধা আছে এমন যে কোন ডিভাইজে মোবাইল ফোন, স্মার্ট টিভি ইত্যাদি তে আইপিটিভি দেখা যায়। তাছাড়া স্যাটেলাইট টিভির চেয়ে আইপিটিভির কাভারেজও অনেক বেশি অর্থাৎ স্যাটেলাইট টিভির ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সীমানার বাইরে টিভি দেখা যায় না, কিন্তু আইপিটিভির মাধ্যমে যেখানে ইন্টারনেট সেখানেই অল্প ব্যান্ডউইথ দিয়েও অনেক বেশি স্বচ্ছ কোয়ালিটির লাইভ অনুষ্ঠান পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। এই ১৪ টি ইন্টারনেট প্রটোকল টেলিভিশনের (আইপি টিভি) মধ্যে নিবন্ধনের অনুমতি পেয়েছে মেহেরপুর প্রতিদিনের প্রকাশক এম এ এস ইমনের মালিকানাধীন রাজধানী টিভি।
এক সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় রাজধানী টিভির চেয়ারম্যান এমএএস ইমন বলেন, যেহেতু আইপিটিভির সম্প্রচার ব্যাপ্তি ইন্টারনেট সুবিধা আছে এমন সব জায়গায় তথা সমগ্র বিশ্বের আনাচে কানাচে। সেহেতু বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, জীবনাচার, পর্যটনখাত, ব্যবসায়িক উন্নয়ন, দেশের ব্যবসা ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সুবিধা সমূহ, দেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন বিশ্ব দরবারে তুলে ধরবে রাজধানী টিভি।
রাজধানী টিভি ছাড়াও নিবন্ধনের অনুমতি পাওয়া অন্য আইপি টিভিগুলো হলো— মুভিবাংলা টিভি, জাগরণ টিভি, রূপসী বাংলা টিভি, হার্নেট টিভি, মাটি এন্টারটেইনমেন্ট টিভি, ফ্লিক্স আরকে টিভি, ভয়েজ টিভি, জে এ টিভি, নিউজ২১ বাংলা টিভি, জাগরণী টিভি, সবেহপ্রাইম টিভি, দেশবন্ধু টিভি ও সিএইচডি নিউজ২৪ টিভি।
আইপি টিভির নিবন্ধনের শর্তে বলা হয়, অনুষ্ঠান তৈরি ও প্রচারের ক্ষেত্রে ২০১৪ সালের জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা, ২০১৭ (সংশোধিত ২০২০) সালের জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জারি করা অন্যান্য আইন, বিধিমালা, নীতিমালা, পরিপত্র, নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। বিদ্যমান কপিরাইট আইনের সংশ্লিষ্ট বিধি-বিধান মেনে চলতে হবে। এসব আইনের কোনও ধারা যাতে লঙ্ঘিত না হয়, সেদিকে বিশেষভাবে সচেতন থাকতে হবে। বাংলাদেশে বিদ্যমান সেন্সরশিপ কোড যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।
সরকার প্রবর্তিত আইন বা বিধি-বিধান অনুসরণ করে নিবন্ধনের জন্য কমিশন নির্ধারিত হারে নিবন্ধন ফি, বার্ষিক নবায়ন ফি জমা দিতে হবে। অননুমোদিত সম্প্রচারে থাকায় সম্প্রতি ৫৯টি অনিবন্ধিত আইটি টিভি বন্ধ করে দেয় বিটিআরসি।