কোনো প্রকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা না রেখেই চলছে মোমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ। আর এই নির্মাণ কাজ করতে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেন তুষার (২৬) নামের এক নির্মাণ শ্রমিক। আহত তুষার আলী মেহেরপুর সদর উপজেলার গহরপুর গ্রামের মকলেস আলীর ছেলে।
শনিবার সকালে কাজ করতে এসে মোমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মোমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি নতুন দ্বিতল ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। ভবনের একেবারে কোল ঘেঁসে বয়ে গেছে পল্লী বিদ্যুতের ১১ হাজার ভোল্টেজ এর কয়েকটি বৈদ্যুতিক তার। সেখানে কোন প্রকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা না রেখেই চলছিল ভবনের তৃতীয় তলার নির্মাণের কাজ।
ইমারত শ্রমিকরা তৃতীয় তলার ছাদে রড বাঁধায়ের কাজ করছিল। এ সময় নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত স্টিল টেপ (ফিতা) দিয়ে মাপজোকের সময় অসাবধানতা বসতঃ টেপটি তারের উপর পড়লে তুষার বিদ্যুতায়িত হয়ে দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি ঘরে ছিটকে পড়ে প্রাণে রক্ষা পেলেও তার বাম পায়ের কিছু অংশ পুড়ে যায় এবং মাথা ফেটে যায়। সেখানে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। ঘটনাস্হলে রক্ত পড়ে থাকতে দেখা যায়। এসময় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাউকে দেখা যায় নি। নৈশকালীন পাহারার দায়িত্বে নিয়োজিত কাজী কচি বলেন, ঘটনার সময় আমি ছিলাম না, তবে পরে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের কথা শুনলাম।
তুষারের সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাজারের চিকিৎসকের কাছে নিলে তার অবস্থা বেগতিক দেখে চিকিৎসক হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে মেহেরপুর ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে দমকল কর্মীরা তাকে নিয়ে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বারাদীতে কর্মরত লাইন টেকনিশিয়ান ওলিয়ার রহমান বলেন, দুর্ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্হলে গিয়েছি। তবে তাদের কাজের নিরাপত্তার সুবিধার্থে তারা আমাদের জানাতে পারতো । জানালে হয়তো কাজের সময় ঐদিকের বিদ্যুৎ সংযোগ সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা যেত।
বারাদী পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই মফিজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।