অল্প বয়সেই চুল পাকার চিত্র অহরহ দেখা যাচ্ছে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, অসময়ে চুল পাকার অন্যতম কারণ অগোছাল জীবনযাপন ও খাওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম।
এছাড়া চুলে অতিরিক্ত ধূলোবালি লেগে থাকলে এই সমস্যা দেখা দেয়। বেশি স্ট্রেস নেওয়াকেও চুল পাকার জন্য অনেকে দায়ী করে থাকেন।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুল সাদা হওয়াটা অনেকটা স্বাভাবিক। কিন্তু অসময়ে চুল পেকে যাওয়াটা অবশ্যই চিন্তার বিষয়। এমনটা হলে বুঝতে হবে শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানগুলির যথেষ্ট অভাব রয়েছে। আবার অনেকসময় জিনগত কারণেও অল্প বয়সে চুলে পাক ধরতে পারে।
অল্প বয়সে চুলে পাক ধরার কারণ এবং এর থেকে বাঁচার উপায়:
স্ট্রেস
চুল পড়ে যাওয়া এবং চুল পেকে যাওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে কাজ করে স্ট্রেস। অনেক বেশি মানসিক চাপ ও চিন্তার কারনে চুল তাড়াতাড়ি পেকে যেতে পারে। স্ট্রেসে থাকলে মস্তিষ্কে কর্টিসল বা স্ট্রেস হরমোনের উৎপাদন হতে শুরু করে। আর এর কারণে চুল সাদা হয়ে যায়।
প্রোটিনের ঘাটতি
প্রোটিনের অভাবেও অনেক সময় চুল পেকে যেতে শুরু করে। সেজন্য চুলের স্বাস্থ্য ভালো করতে প্রতিদিনের ডায়েটে প্রোটিন অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি
শরীরে ভিটামিনের অভাব থাকলেও চুল ধীরে ধীরে সাদা হওয়া শুরু করতে পারে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভিটামিন বি১২-এর অভাবের কারণে চুল সাদা হতে পারে। তাই চুলের মান ভালো রাখতে ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
ধূমপান বা দূষণ
অত্যধিক ধূমপানের কারণে এবং দূষণের কারণেও চুল সাদা হয়ে যেতে পারে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে ধূমপান ত্যাগ করতে হবে এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
কী করবেন
১. কম বয়সে চুল পাকা রোধ করতে প্রথমেই অস্বাস্থ্যকর ও অনিয়মিত জীবনধারা পরিবর্তন করতে হবে। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে চুল পাকার ঝুঁকি কমানো যেতে পারে।
২. স্ট্রেস কমাতে হবে। অতিরিক্ত চাপ নিয়ে কিছু করা চুলের জন্য ক্ষতির কারণ।
৩. প্রতিদিনই শ্যাম্পু করা যাবে না।
৪. নিয়মিত খাবারে সবুজ শাকসবজি এবং ফলমূল খেতে হবে।
৫. সপ্তাহে অন্তত দুদিন মাথায় নারিকেল তেল দিতে হবে।
৬. চুলে যতটা সম্ভব কম পরিমানে কেমিকেল জাতীয় পণ্য ব্যবহার করার অভ্যাস করতে হবে।