প্রাত্যহিক জীবনে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে ছবি, ভিডিও এবং মিউজিকের মতো কনটেন্টগুলো শেয়ার করার বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্লুটুথ এবং নেওয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন (এনএফসি) ভিত্তিক ফাইল স্থানান্তরের তুলনায় বর্তমানে একটি স্মার্টফোন থেকে অন্য একটি স্মার্টফোনে কিংবা একটি স্মার্টফোন থেকে পিসিতে তারবিহীন কনটেন্ট স্থানান্তর এখন আরও বেশি জনপ্রিয়।
ফাইল-শেয়ারিং প্রযুক্তি আসার ফলে মানুষ খুব কম খরচে আগের চেয়ে বেশি পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট শেয়ার করতে পারছেন। বেশ কিছু অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা এখন কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ওয়াইফাই ডিরেক্ট-এর মতো ওয়াইফাই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বড় আকারের ফাইল শেয়ার করতে পারছেন। অধিকাংশ অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে এ প্রযুক্তিটি রয়েছে। গত শতাব্দীতে বেশ কিছু খাতের অভূতপূর্ব বিকাশ ঘটেছে। অগমেন্টেড কনটেন্ট শেয়ারিং এবং কনটেন্ট উপভোগের মাধ্যমে ডিজিটাল বিনোদন দুনিয়ায় অতুলনীয় অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এটি সম্ভবপর হয়েছে ব্যবহারের বৈচিত্র্যময়তা এবং চাহিদার কারণে। এ ছাড়া ফাইল শেয়ারিংয়ের প্ল্যাটফরম শেয়ারইটের মতো অনেকেই কোনো ডেটা ব্যবহার ছাড়া বড় ফাইল স্থানান্তর সুবিধা নিয়ে আসার কারণে। বাধাহীনভাবে ফাইল শেয়ার করা যায় এমন ক্রস প্ল্যাটফরম অ্যাপগুলো বর্তমানে বিস্তৃত পরিসরের গেমসহ অভিনব ফিচার চালু করছে।
কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারি গেমিং শিল্পখাতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। ব্যবহারকারীরা মোবাইলে গেম খেলার সংস্কৃতিতে আরও বেশি যুক্ত হচ্ছেন। এবং মোবাইল গেমিং শিল্প দ্রুতগতিতে তারগুলো সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে। এসব কথা বিবেচনা করেই, শেয়ারইট তাদের অ্যাপে একটি পৃথক গেমিং সেন্টার নিয়ে এসেছে; যেখানে রয়েছে এইচটিএমএল৫ গেম, গেমিং ভিডিও এবং জনপ্রিয় গেমগুলো ডাউনলোডের জন্য একটি অপশন।
এ ছাড়াও, অধিকাংশ পিসি ব্যবহারকারীরা মোবাইল ডিভাইস থেকে কম্পিউটারে ফাইল স্থানান্তরের জন্য ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভকে পছন্দের তালিকায় রাখেন। এ ক্ষেত্রে ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভ কার্যকর ভূমিকা রাখে; একই সময় ব্যবহারকারীর ইউএসবি ড্রাইভ ছাড়া এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে বড় আকারের ফাইল স্থানান্তরেরও প্রয়োজন পড়তে পারে। এসব বিবেচনা করেই, ‘পিসি ট্রান্সফার’ ফিচার চালু করেছে, যা তাদের সহজে ডিভাইসগুলোর মধ্যে ডাটা স্থানান্তরে সহায়তা করে। দ্রুত গতিতে বড় ফাইলগুলো ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভ ব্যবহার ছাড়া মোবাইল ডিভাইস থেকে কম্পিউটার এবং কম্পিউটার থেকে মোবাইল ডিভাইসে স্থানান্তর করতে এ ফিচারটি বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
ডিজিটাল মাধ্যমে বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের মাঝে কনটেন্ট শেয়ারিংয়ের বিষয়টি এখন অনেক বেড়েছে। মানুষ এখন তাদের বিশেষ ও স্মরণীয় মুহূর্তগুলোকে ছবি ও ভিডিওর মাধ্যমে ধারণ করে তাদের প্রিয়জনদের সঙ্গে শেয়ার করছে। দলগতভাবে কাজ করার সময় সহকর্মীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস শেয়ার করার প্রয়োজন পড়ে। আর এ প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করেই, শেয়ারইট সবাইকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে নতুন গ্রুপ শেয়ার ফিচার চালু করে।
ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ব্যবহারকারীদের চাহিদাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আর এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফাইল শেয়ারিং অ্যাপও নিজেদের অলরাউন্ডার হিসাবে রূপান্তর করেছে; যেখানে রয়েছে অনলাইন গেমিং, ছোট দৈর্ঘ্যরে ভিডিও, প্রয়োজনীয় মিউজিক স্টোরেজ এবং খুব সহজেই দুটি ডিভাইসের মাঝে ফাইল স্থানান্তর করার কার্যকর সুবিধা।