দর্শনা কেরুজ চিনিকলের বয়লারে খড়ির প্রয়োজনে মরাগাছের ডাল কাটার অযুহাতে ৫ লাখ টাকা মূল্যের ২২টি শিশুগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে দেলোয়ার হোসেন ও খামার ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম টুটুলের বিরুদ্ধে।
ঘটনা জানাজানি হলে তারা কর্তনকৃত গাছের নিচের অংশ ঢেকে প্রমান লোপাাটের অপচেষ্টাও চালিয়েছে। তবে বিধিবাম !
এদিকে অভিযুক্তদের ভয়ের কোন কারণ নেই বলে জনৈক এক কর্মকর্তা তাদেরকে আশ্বস্থ করেছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
জানাগেছে, দর্শনা কেরুজ চিনিকলের মাড়াই মোরসুম শুরু হওয়ার আগে থেকেই বয়লারের জ্বালানির জন্য খড়ি ক্রয় করে থাকে চিনিকল কর্তৃপক্ষ। তারি ধারাবাহিকতায় ২০২০-২১ মাড়াই মোরসুমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠনের নিকট থেকে ১১শ মেট্রিকটন খড়ি ক্রয় করা হয়।
মাড়াই কার্যদিবস শেষ হবার আগেই ক্রয়কৃত মোজুদ খড়ি শেষ হয়ে যায় চিনিকলের। মাড়াই কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য কর্তৃপক্ষ নিজেস্ব কৃষি খামারের থাকা মরা এবং শুকনা গাছ ও গছের ডাল কাটার নির্দেশ দেন কর্তৃপক্ষ।
এর জন্য কর্তৃপক্ষ বীজ পরিদর্শন ও কৃষিতত্ব বিভাগের ব্যবস্থাপক দেলোয়ার হোসেনকে প্রধান করে মহা-ব্যবস্থাপক (অর্থ) গোলাম জাকারিয়া, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ইয়াসির আরাফাত ও জহির উদ্দিনের (ভুমি) সমন্বয়ে ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠণ করে দেন।
অভিযোগ উঠেছে কমিটির প্রধান দেলোয়ার হোসেন ও খামার ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম টুটুল মরাগাছ এবং গাছের ডালকাটার অযুহাতে আকন্দবাড়িয়া বীজ উৎপাদন খামারের প্রায় ৫ লাখ টাকার মূল্যবান ২২টি শিশু গাছ চুরি করে কেটে ফেলেন।
কর্তনকৃত গাছের কিছু অংশ বয়লারের জ্বালানি হিসাবে চিনিকলে সরবরাহ করেন এবং গাছের মূল্যবান অংশ আত্নসাৎত করেছেন। প্রশ্ন উঠেছে গাছের মূল্যবান অংশ কোথায় রেখেছেন এবং কার জন্য ? এব্যাপারে কমিটির প্রধান বীজ পরিদর্শন ও কৃষিতত্ব বিভাগের ব্যবস্থাপক দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি কোন গাছ কাটেনি, গাছের ডাল কেটেছি।
তাহলে কাটা গাছের গুড়ি মাটি দিয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চালানো হয়েছে কেন ? এর উত্তরে তিনি বলেন, মোবাইলে সব বলা যাবে না। স্বাক্ষাতে বলব। এদিকে অভিযুক্তদের রক্ষা করতে চিনিকলের জনৈক্য কর্মকর্তা বয়ের কোন কারণ নেই বলে আশ্বস্থ করেছেন দেলোয়ার ও টুটুলকে। কর্মকর্তার এহন আচরণে বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
চিনিকলের ব্যবস্থপনা পরিচালক মোশারফ হোসেন বলেন, আমি যতটকু জেনেছি একটি মরাগাছ কাটা হয়েছে। এর পরও যখন গাছ কাটা নিয়ে নানা কথা উঠছে তখন সরেজমিনে তদন্তপূর্বক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে নতুন করে তদন্ত কমিটি গঠণ করে তদন্ত করা হবে।