মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মুজিবনগরে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন করা হয়েছে। দিনব্যাপী নানা কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে মুজিবনগর উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষনা করা হয়। ভোরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মুজিবনগর থানার ওসি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে দিবসের কর্মসূচী শুরু করেন। পরে সকাল ৯টায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পন করেন। পরে সকাল ১১টায় শেখ হাসিনা মঞ্চে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাড. আমিরুল আলম এমপি, পারভিন জামান কল্পনা, অ্যাড, গ্লোরিয়া ঝর্ণা এমপি, নির্মল চ্যাটার্জি, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন এমপি, তৎকালীন সাবেক এসপি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকন, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক। সমাবেশ পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন। এখন থেকে ষড়যন্ত্রের আভাস হাওয়া বইতে শুরু করেছে। আমরা কিন্তু টের পাচ্ছি। শেখ হাসিনা কাউকে ছাড় দিবেন না। যারা ষড়যন্ত্রকারী আমরা তাদের হুশিয়ার করছি। বাংলার জনগণ বারবার পলাশির যড়যন্ত্র দেখতে চায় না। আরেকটা পলাশি আপনাদের আর কোন দিন করতে দেওয়া হবে। তাই আসুন শেখ হাসিনার ঝাণ্ডার তলে ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, ঐতিহাসিক ১৭ এপ্রিলে পরিস্কার করে বলতে চাই, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। যে সংবিধানের জন্য আমাদের ৩০ লক্ষ মানুষকে প্রাণ দিেেত হয়েছিলো। যে সংবিধানের জন্য ২ লক্ষ মা বোনের সম্ভব দিতে হয়েছিলো। যে সংবিধানের জন্য আমরা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলাম। সেই সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। যাদের নির্বাচন করার সক্ষমতা আছে তারাই নির্বাচনে আসবেন। নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রমান করবেন জনগণন কাকে চায় বা কাকে চায় না। ওই রাজপথে দাড়িয়ে ভাষণ দিয়ে জনগণ কার পক্ষে আছে এটা বলার সুযোগ নেই।
সভাপতির বক্তব্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতা সংগ্রামের একমাত্র নেতা। যিনি মুক্তিযুদ্ধের সকল কর্মসূচী ঘোষণা করার একমাত্র মালিক ছিলেন। বর্তমান অপরাজনীতির বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মোকাবেলা করবোই।
এর আগে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পন করেন। সমাবেশে আগে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন চিত্র নিয়ে আনসার ও ভিডিপির সদস্যরা গীতিনাট্য মঞ্চস্থ করেন।