আগামী ১৫ দিনের মধ্যে হাসপাতালে রূপ নিচ্ছে বসুন্ধরা কনভেনশন সিটি
আইসিসিবিতে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সংবাদ সম্মেলন
করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসায় আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) দুই হাজার বেডের পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল চালু করতে চায় সরকারের স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। এর বাইরে হবে ৭১ বেডের আইসিইউ ইউনিট। ইতোমধ্যে কাজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কেনাকাটা চলমান রয়েছে।
আজ রবিবার আইসিসিবিতে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঢাকা সিটি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদুল আলম। বৈশ্বিক লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যে আইসিইউ ইউনিটের জন্য অনেক মালামাল বিদেশ থেকে আনার প্রয়োজন পড়ায় হাসপাতাল তৈরিতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে বলে জানান তিনি। এসময় স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম, আইসিসিবি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এমএম জসীম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সরকারকে আইসিসিবি-তে পাঁচ হাজার শয্যার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেয় দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। পরে হিসাব-নিকাশ করে সেখানে দুই হাজার শয্যার হাসপাতাল তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই মোতাবেক ক্রয় কার্যক্রম আগেই শুরু হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
মাসুদুল আলম বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বেড ও পার্টিশনের মালপত্র চলে আসবে। আইসিইউ ইউনিটের জন্য অধিকাংশ সরঞ্জাম বিদেশ থেকে আনতে হচ্ছে। এসব মালামাল কার্গো বিমানে করে আসবে। বৈশ্বিক লকডাউন পরিস্থিতিতে এসব মালামাল আসতে কিছুটা সময় লেগে যাচ্ছে। সব মিলে ১৫ দিনের মধ্যে আমরা পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল করার চেষ্টায় আছি। ১০-১২ দিনের মধ্যে আইসিসিবি’র এক্সপো জোনে দেড় হাজার বেডের হাসপাতাল ইউনিট প্রস্তুত হয়ে যাবে। তবে যেহেতু মালামালগুলো বাইরে থেকে আসছে, সেখানে কয়েকদিন বেশি সময় লেগে যেতে পারে।
দুর্যোগের এই সময়ে পুরো কনভেনশন সিটি হাসপাতালের জন্য ছেড়ে দেওয়ায় বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানিয়ে মাসুদুল আলম বলেন, এই এক্সপো জোনের ভাড়াই দৈনিক ৪৫ লাখ টাকা। বসুন্ধরা কোনো ভাড়া নিচ্ছে না। এছাড়া স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কাজগুলো বাস্তবায়ন করবে, আর হাসপাতাল স্থাপনের যাবতীয় ফ্যাসিলিটি বসুন্ধরা নিজ খরচে ব্যবস্থা করছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আইসিইউ ইউনিটের জন্য প্রয়োজনীয় ভেন্টিলেটর স্টকে আছে। ডাক্তার ও নার্সসহ জনবলের যাবতীয় সাপোর্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে সরকার বহন করছে।
আইসিসিবি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন বলেন, বসুন্ধরা থেকে আগেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল যে, যতদিন এই মহামারী থাকবে ততদিন পর্যন্ত এই হাসপাতাল চালু থাকবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সব কাজ পুরোদমে চলছে। এখানে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা আছে।
সূত্র-বাংলাদেশ প্রতিদিন