টানা হরতাল অবরোধের নামে যানবাহনে ও স্থাপনায় আগুন লাগিয়ে ভীতি তৈরি করা যেনো থামছেই না। রবিবারেও সকাল সন্ধ্যা অবরোধের মধ্যে আরেকটি বাসে আগুন দেয় অবরোধকারীরা। এ নিয়ে ২৮ অক্টোবরের প„র থেকে ২৯০ টি অগ্নিসংযোগের তথ্য দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। এদিকে দৈনন্দিন কাজ করতে বের হওয়া সাধারণ মানুষ বলছেন, ‘ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘরে বন্দি করে রাখতে পারবে না। আমাদের কাজ করে খেতে হয়। তাদের নিজেদের ক্ষমতায় যাওয়ার লোভে আমাদের মতো খেটে খাওয়া মানুষদের ভয় দেখানোর দিন শেষ। শ্রমজীবী মানুষ কাজের জন্য রাস্তায় নেমে যাওয়ায় কবে হরতাল আর কবে অবরোধ সেটা বুঝতেই পারবেন না।’
রবিবার রাজধানীর পোস্তগোলা এলাকায় সালাউদ্দিন পাম্প এর পাশে রাইদা পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিয়েছে অবরোধকারীরা। বেলা ২টা ৪০ মিনিটে আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। খবর পেয়ে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে রওনা দেয় ।
এর আগে সকালে রাজনৈতিক দলের ডাকা অবরোধ ও হরতালে গত ২৮ অক্টোবর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৯০টি অগ্নিসংযোগের খবর পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। এতে ২৮৫টি যানবাহন ও ১৫টি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অগ্নিসংযোগকৃত যানবাহনের মধ্যে ট্রাক ৪৫টি, কাভার্ডভ্যান ২৩টি, মোটরসাইকেল ৮টি ও অন্যান্য গাড়ি ২৯টি।
এর আগে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ডাকা অবরোধ কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই রাজধানীতে তিনটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। গুলিস্তানে রজনীগন্ধা, কলাবাগানে শিকড় ও মিরপুর-১৩ নম্বরে ট্রাস্ট পরিবহনের বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ৯টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সময়ে এসব অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধে দিনের বেলায় ঢাকায় পিকেটারদের কোনো তৎপরতা থাকছে না। তবে সন্ধ্যার পর থেকেই নগরীর এখানে ওখানে যানবাহনে আগুনের খবর আসছে। প্রথম এক দুইদিন রাজধানী ঢাকায় সড়কে মানুষ কম নামলেও পরে কর্মস্থলে যেতে বাধ্য হয়েছে।
গত ২৮ অক্টোবর থেকে বিএনপি সহিংসতা শুরু করেছে। সেদিন থেকে নিয়মিতভাবে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের জোটের কিছু বামদল হরতাল-অবরোধ পালন করছে। এসময়ে বিএনপি হরতাল-অবরোধ দিয়ে বাসে ট্রাকে যানবাহনে আগুন দিয়েছে সবজিবাহী ভ্যানে আগুন দিয়েছে, রেলে আগুন ধারাবাহিকভাবে দিয়েছে- এসব আগুন সন্ত্রাস করে এখন বিএনপি-জামাত ও তাদের জোটরা আগামী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না।