বেকারত্ব একটি অভিশাপ। আমারও বেকার দিনগুলির কথা মনে পড়লে অনুধাবন করি কষ্টের যাতনা।
তবে একটি অভিজ্ঞতা হয়েছে, একটি সময়ের পর মহান আল্লাহ তায়ালা কাউকেও বেকার রাখেন না। তিনি কাকে কি রিজিক দিবেন, কিভাবে সম্মানিত করবেন তা নির্ধারিত আছে।আমাদের কাজ হচ্ছে চেষ্টা করে যাওয়া। হতাশ হওয়া যাবে না। পাখি যেমন ভোরে বের হয় রিজিকের সন্ধানে সে জানে না কি তার রিজিক, সৃস্টিকর্তা তার জন্যও একটা ব্যবস্থা করে রেখেছেন।তেমনি মানুষের কেউই জানে না কি তার নির্ধারিত।
আমি নিজেও কখনো ভাবি নি যে আমি ব্যবসা করব।আমার জীবনে আমি অনেককেই বেকারত্বের কারনে ভুল পথে চলে যেতে দেখেছি। কিন্তু ধৈর্য্যহারা হলে হবে না।
Intention, integrity, hardworking, loyalty to almighty Allah এইগুলি থাকলে আপনি নিশ্চিত জয়ী হবেন।আপনার যা আছে তাই নিয়ে শুরু করুন না, দেখবেন আজকের বিন্দু বিন্দু জল গভীর সমুদ্র না হলেও একটি পুকুর হয়ে যেতে পারে।
আমার যা আছে, কাল বিলম্ব না করে তাই দিয়েই শুরু করতে হবে। ধরুন, আমার সঞ্চয়ে তিন লাখ টাকা জমা হয়েছে। আমি সেটা কাজে লাগাবো। মেহেরপুরে দুই লাখ দিয়ে ৩ টা গাভী কিনবো। ৩ টা গাভীতে দিনে কতটুকু দুধ হয়? মনে হয়, ৪৫ কেজি যার দাম ১৭০০ টাকা, ভরণ পোষণ খরচ সব বাদ দিলেও শুনলাম ১০০০ টাকা দিনে আয় হবে। বাকি ১ লাখ টাকা দিয়ে কবুতর পালন করলে তা থেকেও দিনে ৫০০ টাকা থাকবে। অর্থাৎ মাসে ৪৫ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। না হয় আরও কিছু কম।
চাকরি করে আর কয় টাকা হয় এগুলোতে তো দেখছি আরো লাভ। এইসব ক্ষেত্রে সরকারী ঋণও পাওয়া যায় সুদবিহীন। একটু মনযোগী হলে আস্তে আস্তে বড় খামারে পরিনত করা যেতে পারে। একদিন আমি হবো একটি বড় খামারের মালিক। আর বসে থাকা যাবে না। আমার যে পুজি আছে তাই নিয়ে নেমে পড়ি। আমার চেষ্টা আর আল্লাহতালার সহায়, আর কে ঠেকায়।।।।।।।
আল্লাহ তায়ালা যেন বেকারদের বেকারত্বের হাত থেকে মুক্তি দিন, আমিন।
লেখক: প্রকাশক, মেহেরপুর প্রতিদিন ।