বাংলাদেশের বড় চিনিকল শিল্পের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনায় অবস্থিত কেরু এন্ড কোম্পানি অন্যতম। প্রতিবছর শীত মৌসুমে চালু হয় কোম্পানির কার্যক্রম।
আজ শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০১৯ শুরু হচ্ছে কেরু এন্ড কোম্পানির আখমাড়াই কার্যক্রম। এই বৃহদায়তন শিল্প-কমপ্লেক্সটি চিনি কারখানা, ডিষ্টিলারি ওয়াটার, বাণিজ্যিক খামার ও জৈব সার কারখানার সমন্বয়ে গঠিত।
এর ভুমির পরিমান ৩ হাজার ৫৭২ একর যার ২ হাজার ৪৫০ একর কৃষিজমি।
এসব কৃষিজমিতে আখ চাষ করা হয়। ১৯৩৮ সালে এই শিল্প প্রতিষ্ঠানটি ব্যক্তিগত উদ্যোক্তাদের অধীনে স্থাপিত হয়। সে সময় এর অধীনে একটি চিনি কারখানা, একটি ডিষ্টিলারী ইউনিট ও একটি ওষুধ কারখানা যাত্রা শুরু করে।
স্বাধীনতা লাভের পর, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকার এই প্রতিষ্ঠানটিকে রাষ্ট্রায়াত্ত¡ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করে। এখানকার মূল পণ্য হচ্ছে আখ থেকে উৎপাদিত চিনি ।
তবে আখ থেকে চিনি বের করে নেওয়ার পর যে উপজাত-দ্রব্য (চিটাগুড়, ব্যাগাস ও প্রেসমাড) পাওয়া যায় তা থেকেও বিভিন্ন পণ্য উৎপাদিত হয়।
উপজাত-দ্রব্য হতে উৎপাদিত পণ্যের মধ্যে উলেখযোগ্য হচ্ছে দেশি মদ, ভিনেগার, স্পিরিট ও জৈব সার। বাংলাদেশের ১৫টি চিনিকলের মধ্যে একমাত্র কেরু এ্যান্ড কোম্পানিকে লোকসান গুনতে হয় না। এর লাভের প্রায় সম্পূর্নটাই আসে এখানকার ডিস্টিলারি ইউনিট থেকে।
-দর্শনা প্রতিনিধি