ফলোআপ
চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদাহ ইউনিয়নের আটকবর মোড় হইতে মুজিবনগর সড়কের দিকে যেতে অবস্থিত জগন্নাথপুর গ্রামের ক্ষুদে পাকার ছেলে ইউসুফের মায়া বেকারীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ও স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর নানান কেমিক্যাল ও রং মিশিয়ে তৈরী করা হচ্ছে বিস্কুট, রুটি, কেক সহ নানা প্রকার খাদ্যদ্রব্য আর কেক তৈরীতে ব্যবহার করা হচ্ছে বাসি ভাঙ্গা ডিম।
বেকারীতে কাজ করা শ্রমিকদেরও নেই কোন স্বাস্থ্য সচেতনতা। মাথার চুল আলগা সহ গায়ের ঘাম টপটপ করে পড়তে থাকে এসব খাদ্যর উপর। আর বেকারীটি একেবারে নির্জন জায়গায় হওয়ায় অনেকে বুঝতেই পারেন না যে আটকবর মোড় ছাড়িয়ে মাঠ সংলগ্ন একটি বেকারী রয়েছে। এতে করে প্রশাসনের ও তেমন একটা নজর পড়েনা বেকারীটির উপর।
এ বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশিত হলে বেকারিটির মালিক ইউসুফ ও তার ভাড়াটে মাস্তান মিঠুন সাংবাদিককে মুঠোফোনে দেখে নেওয়া সহ প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। ইউসুফ ও তারা ভাড়াটে মাস্তান জগন্নাথপুর গ্রামের আবুল মোল্লার ছেলে মিঠুন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
গোপনসুত্রে জানা গেছে মিঠুন সহ এলাকার কিছু গাঁজাখোরদের আড্ডাস্থল এই বেকারীটি। বেকারীটি নির্জনে হওয়ায় তাদের আড্ডার আসর বসানোও খুবই সহজ হয়। মিঠুন নাকি এলাকায় দাপট দেখিয়ে বেড়ায়। তার এ ধরনের আচরনে কেউ টু শব্দ করার সাহস পাইনা। বেকারীর মালিক ইউসুফের আরেক ভাই ছিলো শীর্ষ সন্ত্রাসী। যার কারনে তাদের অপকর্ম কেউ তুলে ধরতে পারেনা। ধরলেই তাকে পেতে হয় নানান হুমকি ধামকি ।
একজন বেকারী মালিক কার ইন্ধনে কোন ক্ষমতার বলে একজন সাংবাদিককে প্রাণ নাশের হুমকি দেয় বিষয়টি নিয়ে ভাবিয়ে তুলেছে সচেতন মহলকে। সাংবাদিককে হুমকিদাতা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য সামগ্রী তৈরী করা বেকারি মালিকটির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যাবস্থা নেবার দাবী তুলেছে সচেতন মহল সহ এলাকাবাসী।
বেকারিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন সহ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন পরিচালকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল।