কয়েকদিন আগে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ও পত্র পত্রিকায় নিজ জমিতে কাজ করার সময় (শফিকুজ্জামান টুল-নাসিমা খাতুন) শিক্ষক দম্পত্তির উপর হামলা ও শ্লীলতাহানীর চেষ্ঠা শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ পায় যাতে অনেকেই বিষয়টি সহানুভুতিশীল দৃষ্টিতে দেখে।
কিন্তু জমির প্রকৃত মালিকানা নিয়ে রয়েছে এক জটিল কাহিনী। এই জমির প্রকৃত মালিকরা শিক্ষক দম্পত্তির অবৈধ দখলদারিত্ব ঠেকাতে অদালতের শরণাপন্ন হলে গতকাল মঙ্গলবার ঝিনাইদহ বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, বিরোধপূর্ণ জমির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
জানা যায়, ২০০৮সালে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ৩১নং সাধুহাটী মৌজার এসএ খতিয়ান ৮৫৬ ও বর্তমান আর এস খতিয়ান ৯০৫ এবং এসএ দাগ নং২২৭২/২২৭৩ এর ৮৮শতক জমির মধ্যে অন্য ভাই বোনদের অংশ বাদ দিয়ে পোতাহাটী গ্রামের মৃত খোরশেদ আলী খা এর পূত্র বিল্লাল হোসেন খাঁ এর নিকট থেকে ৯শতক জমি হরিণাকুন্ডু উপজেলার বরিশখালী গ্রামের এটিএম শফিকুজ্জামান টুলুর স্ত্রী সাধুহাটী মাধ্যমিক বলিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাসিমা খাতুনের নামে ক্রয় করে।
যার বর্তমান দাগ নং ৬৩২৪ জমির চৌহদ্দি নকশা উত্তর- দক্ষিন এবং সে অনুযায়ী ওই শিক্ষক দম্পত্তি সেখানে সীমানা পিলার পুতে গাছপালা লাগিয়ে বেড়াদিয়ে ভোগ দখল করে আসছিল। তার নমুনাও এখনো সেখানে রয়েছে।
এঅবস্থায় নতুন রেকর্ড ম্যাপ ভুল হওয়ার কারণে জমির অবস্থান এখন পূর্ব-পশ্চিম অর্থাৎ ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের পাশদিয়ে হয়েছে যে কারণে ওই জমির মূল্য অনেক বেশী হওয়ায় শিক্ষক দম্পত্তির জমির প্রতি নজর লেগেছে এবং তা দ্রুত দখলের চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে জমির পুর্ব পার্শ্ববর্তী অপর মালিকগণ মৃত খোরশেদ আলীর অন্য দুই ছেলে জয়নাল আবেদিন খাঁ ৬৩২৩ ও বদর উদ্দীন খাঁ’র ৬৩২২ দাগ নং রেকর্ড সংশোধেনের জন্য ল্যান্ড সার্ভে আদালতে মামলা করেছে যা চলমান রয়েছে।
এই মামলা থাকাকালীন কোন পক্ষই জমি ভোগ করতে পারেন না কিন্তু ওই শিক্ষক দম্পত্তি গত ৪মার্চ শুক্রবার সকাল উত্তর- দক্ষিন বাদ দিয়ে বিরোধপূর্ণ পূর্ব-পশ্চিম অংশে (৬৩২৪,৬৩২৩ এবং ৬৩২২) দাগ নং এর উত্তর অংশের ৯শতক জমির উপরে শ্রমিক কর্মচারী নিয়ে প্রাচীর ও ঘরবাড়ি নির্মাণ করে দখল করার চেষ্টাকালে জমির মালিকগণ বাধা দেয় ।
এসময় নির্মান কাজ বন্ধ করে এটিএম শফিকুজ্জামান ও নাসিমা পুলিশের কাছে অভিযোগ দিলে মোহন খাঁ ও আপন খাঁ এই দুইজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে যা পরবতির্তে জামিনে মুক্ত হয়। এঅবস্থায় ভুক্তভোগি বদরউদ্দীন খা এবং জয়নাল আবেদিন খাঁ গত ৫মার্চ ঝিনাইদহের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পুনরায় বিরোধপূর্ণ ৬৩২২ ও ৬৩২৩ দাগ নং জমিতে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞার আবেদন করলে আদালত তা মুঞ্জুর করে।
এবিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ওয়ার্ড মেম্বর আনারুল ইসলাম বলেন অবৈধ ভাবে ভূমিদস্যুদেরমত এটিএম শফিকুজ্জামান টুলু ও নাসিমা খাতুন তাদের উত্তর-দক্ষিণ দখলকৃত জমি বাদ দিয়ে পূর্ব -পশ্চিম অংশের জমি দখল করতে এলে জমির মালিকরা তাতে বাধা দেয় এখানে কোন সংঘাত সহিংসতা হয়নি এমনকি কোন শ্লীলতাহানীরমত ঘটনাও ঘটেনি।
নাসিমা খাতুন তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। জমির রেকর্ড সংশোধনের জন্য মামলা চলছে, মামলার রায়ে জমি যার হয় সেই ভোগ দখল করতে পারবে। এখন উভয় পক্ষকে ধৈর্য্য ধারণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।