আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে পদ্মা সেতুর ৩ ও ৪ নম্বর পিলারের ওপর আজ সোমবার বসবে ৩৩তম স্প্যানটি। এই স্প্যান বসানোর মাধ্যমে সেতুর ৪ হাজার ৯৫০ মিটার দৃশ্যমান হবে।
সোমবার সকালে মূল সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের জানান, সব কিছু ঠিক থাকলে আজই স্প্যানটি বসানো হতে পারে। মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ‘ওয়ান সি’ নামের ৩৩তম স্প্যানটি প্রস্তুত করা হয়েছে। মাওয়া প্রান্তে সেতুর ৩ ও ৪ নম্বর পিলারের (খুঁটি) ওপর স্প্যানটি বসানো হবে।
তবে পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোত দেখা দিলে দুদিন সময় লাগতে পারে।
এর আগে ১১ অক্টোবর ৩২তম স্প্যানটি বসানো হয় পদ্মা সেতুর ওপর।
পদ্মা সেতুর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তিন হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ভাসমান ক্রেনটি কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে অবস্থান করছে। নির্ধারিত সময়ে ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে নিয়ে যাবে। কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে পিলারের দূরত্ব খুব বেশি না থাকায় একদিনের মধ্যেই স্প্যানটি বসানোর ব্যাপারে আশাবাদী প্রকৌশলীরা।
আরও জানা গেছে, পদ্মা সেতুতে ৩৩তম স্প্যান বসানো গেলে বাকি থাকবে ৮টি স্প্যান। স্প্যানগুলো মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে আছে।
এদিকে ৪১ স্প্যানের ওপর ২ হাজার ৯১৭টি রোড স্লাব বসানো হবে। এ পর্যন্ত বসানো হয়েছে ১ হাজার রোড স্লাব। এ ছাড়া রেললাইনের জন্য লাগবে ২ হাজার ৯৫৯টি রেল স্লাব। এ পর্যন্ত বসানো হয়েছে ১ হাজার ৬০০ রেলওয়ে স্লাব।
২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সেতুর জাজিরা প্রান্তে ৩৭-৩৮ নম্বর পিয়ারে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে সেতু দৃশ্যমান হয়। গত ৩০ মে পর্যন্ত জাজিরা প্রান্তে সেতুর ২৮টি স্প্যান বসানো হয়।
গত ৩০ মে জাজিরা প্রান্তে সেতুর ২৬ ও ২৭ নম্বর পিয়ারের (খুঁটি) ওপর বসানো হয় ৩০তম স্প্যান। এর পর চলতি বছরের ১০ জুন সেতুর জাজিরা প্রান্তের ২৫ ও ২৬ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হয় সেতুর ৩১তম স্প্যান।