দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে করা শোকজের উত্তর দিয়েছেন মেহেরপুর-১ সংসদীয় আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আব্দুল মান্নান।
তিনি প্রতিনিধি পাঠিয়ে এ জবাব দেন। এতে বলা হয়, তিনি আচরণবিধি ভঙ্গ করেননি। তার বক্তব্য খন্ডিতভাবে উপস্থাপন করে অভিযোগ করা হয়েছে।আর যিনি অভিযোগ করেছেন তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন।
আজ শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকালে মেহেরপুর-১ সংসদীয় আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং মেহেরপুর যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২-এর বিচারক এইচ এম কবির হোসেনের খাস কামরায় শোকজের উত্তর দেন প্রফেসর আব্দুল মান্নানের মনোনীত প্রতিনিধিরা। এ সময় প্রার্থীর ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি হিসেবে অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী এবং আইনজীবী হিসেবে মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক খ ম ইমতিয়াজ হারুন বিন জুয়েল উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগের উত্তরে আব্দুল মান্নান আরও বলেছেন, আমি কোন জনসভা করি নাই। আমি আগে ৩ বার নির্বাচন করে দুইবারই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। আমার বাড়ি ঐ ইউনিয়নে হাওয়াতে গত ১ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে আসার পথে আমি সিরাজ মেম্বরের দোকানের সামনে জনগণের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করি। এ সময় আমি বিএনপি-জামায়াতের হরতাল অবরোধের সমালোচনা করেছি। তাদের উদ্দেশ্যে করে বলেছি, যারা ভোট চোর তারা এবার নির্বাচনের অংশগ্রহণ করছে না। কোন ভোট চোর নির্বাচনে জিততে পারবে না বুঝতে পেরে এবার তারা ভোট করছে না। প্রধানমন্ত্রী চান অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এজন্যই আমি এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি।
ইতোপূর্বে গত ১০ ডিসেম্বর বুধবার মেহেরপুরের সংসদীয়-১ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এইচ এম কবির হোসেন এ শোকজ করেন।
শোকজ নোটিশে বলা হয়েছিলো, আপনি মেহেরপুর-১ (সদর ও মুজিবনগর উপজেলা) আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একজন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মেহেরপুর জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এসএম ইব্রাহিম শাহীন মেহেরপুর-১ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটিতে লিখিত অভিযোগ করেছেন, সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হয়েও আপনি গত শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) আমঝুপি বাজারে সিরাজ মেম্বারের সারের দোকানের সামনে নির্বাচনী জনসভায় অংশগ্রহণ করে বক্তব্য প্রদান করেছেন। আপনি বক্তব্য প্রদানকালে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীকে ভোটচোর বলেও আখ্যায়িত করেছেন।