বিচারের দাবিতে প্রশাসনের দারে দারে ঘুরছেন মেহেরপুর শহরের গড়পাড়া এলাকার রাসেল আহমেদ নামের এক ব্যক্তি। অব্যাহত হত্যার হুমকী, বিনা কারণে মারপিট ও নির্যাতনের বিচারের দাবীতে ইতোমধ্যে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ২য় আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন যার মামলা নং সিআর ২৫৫/২০২৩ ইং।
এছাড়া ন্যায় বিচারের দাবীতে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবর আবেদন দিয়েছেন তিনি। সেই সাথে মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক সংবাদ সম্মেলনও করেছেন ।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, রাসেল আহম্মেদের বাবা ২ বছর আগে মারা যান। মারা যাবার পর থেকেই তার দুই চাচা মো: জয়নাল ও মো: নবাব বিভিন্ন সময়ে রাসেল আহম্মেদকে মারধর করে এবং হত্যার হুমকী দিয়ে আসছেন।
কারন হিসেবে রাসেল আহম্মেদ উল্লেখ করেছেন, পৈত্রিক সম্পত্তি আত্মসাতের উদ্দ্যেশ্যেই তাকে বিভিন্ন সময়ে পাগল আখ্যা দিয়ে মারধর ও হত্যা চেষ্টা করে। হত্যা চেষ্টা করার পাশাপাশি আতংক সৃষ্টির জন্য রাসেলের বাড়ির পেছনে কাফনের কাপড়, আগরবাতি, সাবান ও গোলাপ জল রেখে দেই। মৃত্যুর দিনক্ষণ গণনা শুরু করার জন্যও প্রকাশ্যে হুমকী দেন তারা। এসব কারনে, রাসেল তার পরিবারের লোকজনসহ বাড়ির বাইরে যেতে ভয় পাচ্ছেন বলেও মামলার আরজিতে উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়া বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া, বাড়িতে মাদক, বিস্ফোরক দ্রব্য ও আগ্নেয়াস্ত্র রেখে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করারও হুমকী দিচ্ছে ওই চক্রটি। শুধু মামলা নয়, ওই চক্রের হাত থেকে বাঁচতে ও ন্যায় বিচার পেতে রাসেল আহম্মেদ তার দুই চাচা ফৌজদারিপাড়া এলাকার মৃত মহি উদ্দীন শেখের ছেলে মো: জয়নাল, মো: নবাব, গাংনী উপজেলা শহরের চৌগাছা গ্রামের কাসেম হাজীর ছেলে মামুন অর রশিদ, মেহেরপুর শহরের বেড়পাড়া এলাকার মৃত হাসেমের ছেলে মাসুম, মাসুদ ও জিল্লু পরস্পর যোগ সাজসে আমার পৈত্রিক সম্পত্তি আত্মসাৎ করার উদ্যেশ্যে হত্যা ও খুন গুম করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রাসেল ও তার একমাত্র সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, রাসেল আহম্মেদ তার পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেহেরপুর শহরের বড়বাজার এলাকায় রাজু বীজ ভান্ডার নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালিয়ে আসছেন। এসব আসামিরা এই বীজ ভান্ডারেও হামলা চালিয়ে ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধান করে বলে অভিযোগ করেন বলে জানান তিনি।
আসামিদের মারের আঘাতে রাসেল আহম্মেদ অসুস্থ হয়ে পড়লে মেহেরপুর ২৫০শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।