আলমডাঙ্গায় নেশাদ্রব্য কেনার টাকা না দেওয়ায় ছেলে শিশির আহম্মেদের বিরুদ্ধে তার বাবা বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবহানকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
নিহত আব্দুস সোবহান একজন সাবেক নৌ বাহিনীর কর্মকর্তা ছিলেন। আজ শনিবার দুপুরে পৌর এলাকার থানাপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এঘটনায় আজ শনিবার দুুপুরে অভিযুক্ত শিশির আহম্মেদকে ও তার মা চায়না খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। গত বুধবার রাতে পারিবারিক কোলাহলে জেরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
জানা গেছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুুপুরে নিহত আব্দুস সোবহান ব্যাংক থেকে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা তোলেন। ওই দিন রাতেই তার ছেলের সাথে শিশিরের গোলোযোগ বাধে। পরে দিন বুধবার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে বাবা ও ছেলে দুজনের মধ্যে দিনভর হট্রগোল চলে। ওই দিন মাঝ রাতে আব্দুস সোবহানের আত্নচিৎকার শোনেন এলাকাবাসী। এরপর থেকে নিহত সোবহানকে বাইরে দেখেনি প্রতিবেশীরা। শনিবার দুপুরে বাড়ির দ্বিতল ভবন থেকে পচা গন্ধ বের হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের ভাইয়ের মেয়ে গুলশান আরা বলেন, তার চাচা ভাই শিশির বখাটে ও নেশাগ্রস্থ ছিল। কোনো কাজকর্ম করত না। নেশার টাকা জোগাতে না পেয়ে তার বাবার সঙ্গে ঝগড়ার এক পর্যায়ে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। তিনি চিকিৎসার অভাবে মারা গেলেও তার (চাচা) সোবহানের কেউ খোঁজখবর নেয়নি। পরে শনিবার দুপুরে পচা গন্ধ পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করেন।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গণি মিয়া জানান, প্রতিবেশীদের খবরে নিহতের বাড়ি থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোবহানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।