আলমডাঙ্গার আসমানখালি বাজারে মেসার্স বাবুল ডেন্টাল কেয়ারে অভিযান চালিয়েছে জেলা ভোক্তা অধিদফতর। এ সময় ভুয়া চিকিৎসক বাবুল রহমানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সিলগালা করা হয় মেসার্স বাবুল ডেন্টাল কেয়ার নামে ওই প্রতিষ্ঠানটি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার গাংনী ইউনিয়ন আসমানখালি বাজার এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালান চুয়াডাঙ্গা ভোক্তা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া নাম-পরিচয়ে ডেন্টাল সার্জন সেজে বাবুল রহমান রোগীদের চিকিৎসা করছিল। তার বিডিএস ডিগ্রি নেই। প্রেসক্রিপশনে ডেন্টাল সার্জন লিখলেও তার কোনো মাধ্যমিক সার্টিফিকেটও দেখাতে পারেননি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এসব অপকর্মের কথা স্বীকার করেন। প্যাডে যে রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করেছেন সেটিও ভুয়া। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে।
সজল আহম্মেদ বলেন, গত কয়েক বছর আগে গ্রামঞ্চলে তিনি দাঁতের মাজন বিক্রি করতেন। সেখান থেকে তিনি তার সহযোগী রোকনুজ্জামান ঘের”র সহযোগীতায় দাঁতের ডেন্টাল কেয়ার খুঁলে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছে। মেসার্স বাবুল ডেন্টাল কেয়ারের মালিক চিকিৎসক পরিচয়দানকারী বাবুল রহমানের কাছে দাঁতের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চাওয়া হয়। বাবুল সনদ দেখাতে ব্যর্থ হয়। যা সম্পূর্ণভাবে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। পরে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একইসঙ্গে মেসার্স বাবুল ডেন্টাল কেয়ার সিলগালার আদেশ দেওয়া হয়।
এছাড়া একই দিন দুপুরে জেলা ভোক্তা অধিদফতর অভিযান চালায় সার-কীটনাশক, সবজি, ডিম, মুদি দোকানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের প্রতিষ্ঠানে তদারকি করেন। এসময় মেসার্স নিজামুল এন্ড ব্রাদার্স নামক সার-কীটনাশকের দোকানে সরকার নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দামে সার বিক্রয় ও সার ক্রয় বিক্রয়ের ভাউচার দেখাতে না পারার অপরাধে প্রতিষ্ঠানের মালিক মো: নিজামুল হায়দারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও মেসার্স মজিবার স্টোরের মালিক মো: মহিবুল ইসলামকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য সংরক্ষণ ও নিম্নমানের মেয়াদ বিহীন শিশুখাদ্য বিক্রয়ের অপরাধে তাকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।