আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুরে ৩’শ বিঘা জমির ভুট্টাক্ষেত সহ পান বোরজে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় গ্রাম্য সালিশে প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে সাক্ষ্য দেয়ায় বৃদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি গতকাল সোমবার রাত ১০ টায় শিয়ালমারী ঘটেছে।
এঘটনায় অভিযুক্ত শিয়ালমারী গ্রামের জিন্নাহ আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত বৃদ্ধা উপজেলার শিয়ালমারি গ্রামের উত্তরপাড়ার ফজলুর রহমানের স্ত্রী ঈশারন খাতুন। এছাড়াও আটককৃত ব্যক্তি একই গ্রামের মৃত শামসুদ্দিন মণ্ডলের ছেলে জিন্নাহ আলী।
ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ।
এলাকাসূত্রে জানাযায়, আলমডাঙ্গার খাদিমপুর ইউনিয়নের শিয়ালমারী বানাতখাল মাঠে গত ১৩ এপ্রিল অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৩’শ বিঘা জমির ভুট্টাখেতসহ পানের বরজ পুড়ে ভস্কিভুত হয়ে যায়। অভিযুক্ত জিন্নাহ আলী তার নিজের ভুট্টাখেতে আগুন দিলে সেই আগুনের সূত্রপাত থেকে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এতে ৩০০ বিঘা ভুট্টাক্ষেত সহ পান বোরজ পুড়ে যায়। ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে সাক্ষ্য দেন বৃদ্ধা ঈশারন খাতুন। এতে গ্রাম্য সালিশে জিন্নাহ আলীকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ ঘটনার জের ধরে গত সোমবার (২২ মে) রাতে ঈশারন খাতুনকে একা পেয়ে তার নিজ বাড়ির সামনে তাকে নির্মমভাবে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে জিন্নাহ।
বৃদ্ধার আত্নচিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বৃদ্ধার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। বৃদ্ধা ঈশারনকে মঙ্গলবার সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী নেবার সময় তার মৃত্যু হয়।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, এ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত জিন্নাহকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।