আলমডাঙ্গা বেলগাছি পুরাতন মসজিদ পাড়ার শেফালি খাতুন ও তার বোনের জমির উপর রাস্তা নির্মাণে বাধা দেওয়া ওই পরিবারের সদস্যদের বেধড়ক মারধর করেছে মঞ্জুর গংয়। মারধরের পরদিন তাদের কিছু না জানিয়ে ৮ শতক জমি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে ওই গংয়ের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনার পর ওই পরিবারকে অব্যাহত ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন তারা। প্রাণের ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না ভুক্তভোগী পরিবার। এ ঘটনার পর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তারা।
আলমডাঙ্গার বেলগাছি পুরাতন মসজিদ পাড়ার ইউসুফ আলী লিখিত অভিযোগে জানান, তার স্ত্রী শেফালি খাতুন ও তার জেশসেস রেক্সোনা খাতুনকে তার শ্বশুর মৃত হারুন অর রশিদ ৬ বছর আগে দুই মেয়েকে ৫১ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে দেন। দুই শতক জমি রাস্তার জন্য রাখেন। ওই জমির পাশে ইউসুফ আলীর পৈত্রিক ৫১ শতক জমি আছে।
তিনি জানান, ওই জমির সাথে আমার চাচাতো ভাই ৮ শতক জমি রয়েছে। আনেক আগে ওই ৮ শতক জমি তাকে এওয়াজ করে মাঠে দিয়ে দিই। এতদিন পর ওই জমির পার্শ্ববর্তী আমার স্ত্রী শেফালি খাতুন ও জেশসেস রেক্সোনার জমির উপর দিয়ে মঞ্জুর গং রাস্তা নির্মাণ করতে গেলে আমি নিষেধ করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মজ্জেম আলীর নেতৃত্বে মঞ্জুর, হাবিবুর রহমান,বরকত আলীসহ ১০/১২ জন আমার উপর দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার উপর চড়াও হয়। আমি দৌড়ে পালিয়ে গেলে আমার স্ত্রী শেফালি, জেসশেস রেকসোনা, কন্যা জিন্নাত আরা, নয়ন তারাকে বেধড়ক মারপিট করে। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হারদি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা আমাদের অবরুদ্ধ করে ফেলে। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। পরে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে। এর একদিন পর ৯ জুন আমাদের অনুপস্থিতিতে মঞ্জুর আলী গং আমার স্ত্রীর জমির মধ্যে থেকে ৮ শতক জমি জোর পূর্বক দখল করে নেয়। এবং ৪০টি বাঁশ কেটে নেয়। বাঁশ কেটে নেওয়ার পর এখন মঞ্জুর গং আমাদের উপর অব্যাহত ভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমরা বাড়ি যেতে পারছি না।
এই অবস্থায় ইউসুফ আলী ও তার স্বজনরা প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন।