আলমডাঙ্গায় বামা মেশিন দিয়ে গভীর থেকে সিলিকা বালি উত্তোলন করছে ইউনিয়ন পরিষদের দুই মেম্বর। সরকারি কাজের নামে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নাম ভাঙ্গিয়ে দীর্ঘদিন এ বালি ব্যবসা চালিয়ে আসছে তারা।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদের বলিয়ারপুর গ্রামের বাহাদুর ও নাগদাহ গ্রামের সারোয়ার মেম্বর দলবদ্ধ ভাবে এ বালি উত্তোলন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
বলিয়ারপুর বাজার প্রাঙ্গণে বসতবাড়ি ও বাগানের পাশের পুকুর থেকে গভীর থেকে সিলিকা বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। এ বালি গুলো সরকারি আশ্রয় প্রকল্পের নামে উত্তোলন করা হলেও তা খুচরা বাজারে ও বিভিন্ন বাড়ির কাজের জন্য বিক্রয় করে।
এ দিকে, গত নভেম্বর মাসে নাগদাহ ইউনিয়নে এ দুই ইউপি সদস্যদের যোগসাজসে বলিয়ারপুর গ্রামের মাঠের মধ্য থেকে প্রায় ৩ শতাধীক গাড়ি বালি উত্তোলন করে। যার বাজার মূল্য ৩ লক্ষাধিক টাকা।
এ বালিগুলো নাগদাহ ও খাসকররা ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের জন্য উত্তোলন করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন আলি নির্দেশ প্রদান করেন।
মৌখিক নির্দেশ অনুযায়ী বালি উত্তোলন করে খুচরা বসত বাড়িতে বিক্রয় করে। আবারো নাগদাহ ও খাসকররা, জামজামি ইউনিয়নের প্রকল্পের নামের বালি উত্তোলনের নির্দেশ দেয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
এ বালি উত্তোলনের ঘটনায় আলমডাঙ্গার বালি ব্যবসায়ী ও ঠিকাদাররা ত্রিব্য সমালোচনা করেন। বালি উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে কোটি কোটি টাকার রাস্তাসহ বিভিন্ন সরকারি কাজ স্থগিত রয়েছে। তবে, ইউপি সদস্যদের কেনো মৌখিক অনুমোদনের নামে তাদের বালি ব্যবসায় সহযোগীতা করছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
এ ঘটনায় কয়েকজন বালি ব্যবসায়ী বলেন, বালি ব্যবসা করে আমরা সংসার চালিয়ে খেতাম। বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার বালি উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা জারির পর থেকে আমরা কষ্টে জীবন যাপন করছি।
জেলা ও উপজেলা ঠিকাদারেরা জানান, প্রশাসনের চাপের কারণে আমরা বালি পাচ্ছি না। বালি না পাওয়ায় কোটি কোটি টাকার সরকারি কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।