আরিফুজ্জামান ফরজ। গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ। নব্বই দশকে তিনি গ্রামের স্কুল থেকে ৮ম শ্রেণী পাশ করেছেন। এরপর তিনি আলমডাঙ্গা মুন্সিগঞ্জ বাজারে এক দাঁতের ডাক্তারের সহকারী (পিয়ন) হিসেবে কয়েক বছর কাজ করেন।
তিনি অভিজ্ঞতার মাধ্যমে নিজেই মুন্সিগঞ্জ বাজারে মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান শুরু করেন। নিজের নামের সাথে ডি.এম.এফ ও ডি.ডি.সি যশোর ডেন্টিষ্ট যুক্ত করেছে। গত ২ দশকের উপরে এ নাম যুক্ত টাইটেল ব্যবহার করে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে। নিজেকে ডিগ্রি প্রাপ্ত ডাক্তার হিসেবেও পরিচয় দিয়ে থাকেন।
ভুয়া ডিগ্রি ধারী ডাক্তারের বিরুদ্ধে একাধিক ভুল চিকিৎসার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিখিত অভিযোগ জানালেও প্রতিকার মেলেনি। পূণরায় ওই ডাক্তার প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে।
ওই মেডিকেল ও ডেন্টালে অপারেশন থিয়েটার নোংরা আচ্ছিন্ন।সে নিজে ৮ম শ্রেণী পাশ হলেও দশম শ্রেণীর অদক্ষ সহকারী (পিয়ন) এর মাধ্যমে দাঁতের অপারেশন কার্যক্রম চালাচ্ছে। মহিলাদের জন্য নেই সহকারী (পিয়ন)। ছোট রুমে একাধিক বেড বিছানোর পাশাপাশি নেই ওয়াশ রুম।
অভিযোগকারী মুন্সিগঞ্জ এলাকার ব্যবসায়ী বলেন, গত ১ মাস পূর্বে উপজেলা নির্বাহি অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তিনি আরো বলেন – ভুয়া দাঁতের চিকিৎসকের নিকট চিকিৎসা নিয়ে অনেক মানুষ কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তিনি অশিক্ষিত। দাঁতের পাশাপাশি নাক, কান, গলার চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।
আরেক ভুক্তভোগী শাহাদাত হোসেন জানান, গত কয়েক মাস পূর্বে স্ত্রীর দাঁতের চিকিৎসা করায়।সে ইচ্ছার বিরুদ্ধে দাঁত তুলে এখনো দাঁতের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এবিষয় উপজেলা নির্বাহি অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার মেলেনি।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার রনি আলম নুর জানান, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে তলব করা হয়েছে। দাঁতের চিকিৎসা দেবার জন্য নিষেধ করা হয়েছে। পূণরায় চিকিৎসা দিলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।