আলমডাঙ্গা উপজেলার রামদিয়া গ্রামে জাল দলিলে জমি রেজিস্ট্রি করে প্রতারণাসহ মিথ্যে মামলার হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া জোরপূর্বক ওই জমিতে থাকা ২ লাখ ৫৮ হাজার টাকার গাছ কেটে নিয়েছে। গাছ কাটা বাঁধা দেওয়া মিথ্যে মামলায় জড়ানো হয়েছে ভুক্তভোগী জমির মালিক আব্দুল জব্বার আলোক সহ তার ভাই ও স্ত্রী এবং ছেলে। ওই জমিতে কর্মরত প্রতিবেশি শ্রমিক ও তার স্ত্রী এবং মাদ্রাসা পড়ুয়া ছেলের বিরুদ্ধেও মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে।
জানাগেছে, উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের রামদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর বারীর ছেলে আব্দুল জব্বার আলোক তিনি গত ২০০৫ সালে ডা. সাহিদা খাতুনের নিকট থেকে তার পৈত্রিক বন্টনকৃত ৪২ শতক জমি ক্রয় করেন। আলোক প্রবাসে থাকায় তিনি ওই ক্রয়কৃত জমি নাম জারি করতে পারেনি। এসুযোগে প্রতিবেশী মৃত কামরুজ্জামানের ছেলে ইমরান হোসেন সে ২০১৯ সালে ডা. সহিদার বোন শরিফা রশিদকে ভুল বুঝিয়ে ৮ শতক জমির জাল দলিল করেন। প্রথম ক্রয়কৃত জমির মালিক আলোক তার জমি দখল নিতে গেলে তাদের হুমকি-ধামকি দেয় ইমরান ।
এরই একপর্যায়ে চুয়াডাঙ্গা জুডিশিয়াল আমলী দেওয়ানী আদালতে মামলা করেন। দীর্ঘ ২ বছর মামলা চলার পর কোর্ট আলোকের পক্ষে রায় দেন। এছাড়া ইমরানের জমির দলিল জাল (ভুয়া) বলে গণ্য করেন। এর আগে ইমরান জোরপূর্বক ওই জমিতে থাকা প্রায় ২ লাখ ৫৮ হাজার টাকার মূল্যের গাছ কেটে নেয়। গাছ কাটা বাধা দেওয়ায় তাদের দেশীয় অস্ত্রের মাধ্যমে হত্যার হুমকিও দেয় ইমরান গং।
গত কয়েক মাস পূর্বে শ্রমিক নিয়ে তার নিজ জমিতে আগাছা ও বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করলে আলোক তার ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক আসিফ, স্ত্রী ডালিয়া খাতুন। এছাড়াও তার জমিতে কর্মরত প্রতিবেশী শ্রমিক তাইজাল, তার স্ত্রী রবুজা, ছেলে সোহাগের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দায়ের করেন। এতে তারা হয়রানীর সম্মূখিন হচ্ছে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী আব্দুল জব্বার আলোক জানান, ক্রয়কৃত জমি দখল দিতে দিচ্ছে না ইমরান। সে ক্ষমতার জোর দেখিয়ে মিথ্যে হয়রানী শিকার করছে। এছাড়া শ্রমিকদেরও মিথ্যে মামলার পাশাপাশি প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
অভিযুক্ত ইমরান হোসেন জানান, গত ২০১৯ সালে শরিফা রশিদের নিকট থেকে ৮ শতক জমি কিনেছি। আদালতে মামলা চলছে।