অনিয়মের অভিযোগ তুলে আলমডাঙ্গার হারদী বাজার বণিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের দাবীতে পরাজিত প্রার্থী ফজলে রাব্বি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গতকাল সোমবার বিকেলে হারদী বাজারে এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি পূনরায় নির্বাচনের দাবী জানান।
লিখিত সংবাদ সম্মেলনে ফজলে রাব্বি জানান,গত ২৬ আগস্ট হারদী বাজার বণিক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। যাদের বাজারে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নাই,তাদেরও নির্বাচনে ভোটার করা হয়েছে। আবার প্রতিষ্ঠান আছে কোন ট্রেডলাইসেন্স নেই তারাও নির্বাচনে ভোটার হয়েছে। একটি চক্র দুর্নীতির মাধ্যমে এসব ভোটার তৈরী করেছে। এছাড়াও বাজার পরিচালনার ব্যয় নির্বাহ করার জন্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যে চাঁদা আদায়ের রশীদ দেওয়া হয়, সেই রশীদ দেখিয়ে ভোটার ভোট দেবার কথা থাকলেও রশীদ না দেখিয়ে ভূয়া ভোটাররা ভোট দিয়ে তাদের নির্বাচিত করেছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে মোট ভোটার ১৮৬ জন, এসব ভোটারদের মধ্যে ৭৪ জনের ট্রেডলাইসেন্স আছে।ট্রেড লাইসেন্স বিহীন ভোটার হওয়া আইন সম্মত নয়। তবুও তাদের ভোটার দেখিয়ে একটি পক্ষকে নির্বাচিত করা হয়েছে।
নির্বাচনে আগে এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়নি কেনো? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ফজলে রাব্বি বলেন,অভিযোগ দেওয়ার পর বলেছে বিষয়টি দেখা হবে, দেখছি, এভাবে নির্বাচনের তিন দিন আগে বলেছে ওরাও ভোটার ভোট দিবে। যেহেতু নির্বাচন কমিশন দ্বায়িত্বে ছিলেন নূর আলম মিঠু, সে সঠিকভাবে দ্বায়িত্ব পালন করেছে,আরও ছিলেন শেখ শাহানুর রহমান টিপু। তিনি ব্যবসায়িক কাজে ব্যস্ত ছিলেন,তাকে বাদ দিয়ে মূল
মাস্টার মাইন্ড যে ভোট পাশ করেছে তার ভাই মতি বিশ্বাস ও রঞ্জু। একজন প্রার্থীর ভাই মতি বিশ্বাস সে মূল মাস্টার মাইন্ড হিসেবে কাজ করেছে।
তিনি সংবাদ সম্মেলেনর মাধ্যমে এই নির্বাচন বাতিল করে পূনরায় নির্বাচনের দাবী জানিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেন।