আলমডাঙ্গায় গৃহবধুকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রবিবার রাতে উপজেলার রেলজগন্নাথপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর পিতা বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে। খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ রবিবার সকালে লাশ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেম রিপোর্টের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
জানাগেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের আকাইলের মেয়ে বিলকিছ খাতুন (২৬)। গত ১০ বছর পূর্বে একই ইউনিয়নের রেলজগন্নাথপুর গ্রামের ইয়ামিন ফারাজির ছেলে লাল্টুর সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। লাল্টু সাংসারিক সচ্ছতার কারণে ঢাকায় টাইলস মিস্ত্রির কাজ করে। বৈবাহিক জিবনে বিয়ের পর কোন সমস্যা না হলে মাঝে মধ্যে তার স্বামীর নিকট নানা ধরণের অভিযোগ করে বিলকিছের শশুড় বাড়ির লোকজন।
এমন ঘটনায় বিভিন্ন সময় বিলকিছের স্বামী মোবাইলে গালিগালাজ করত। গত ৩/৪ দিন পূর্বে ভাসুর সিল্টুর স্ত্রী শিলা খাতুন প্রতিবেশি মুনজিরার মোবাইল ফোনে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে কথা বলছিলো। শিলা স্বামী রেখে তার পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যাবে বলে বিষয়টি প্রতিবেশি মুনজিরা খাতুন।
ঘটনাটি বিলকিছকে জানালে সে পরিবারের লোকজনকে জানিয়ে দেয়। এ ঘটনার জের ধরে তাদের পারিবারিক গোলোযোগ সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে বিলকিছের পিতা আকাইল তার মেয়েকে বাড়িতে আনতে যায়। বিলকিছ তার বাবার সাথে না এসে শশুর বাড়িতে থাকে।
রবিবার রাতের আধারে শ্বাসরোধে বিলকিছকে হত্যা করে। হত্যা শেষে নাটকীয়তার মোড় ঘুরাতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে বিলকিছের নিজ রুমে ঝুলিয়ে রাখে। সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আলমডাঙ্গা থানাপুলিশ উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে। সুরতহাল রিপোর্ট শেষে পোষ্ট মর্টেম রিপোর্টের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত বিলকিছের পিতা আকাইল বাদি হয়ে মৃত ইয়ামিন ফারাজির স্ত্রী চায়না খাতুন (৫৫), ছেলে সিল্টু (২৫), বেল্টু (৩০), রবিউল (২৩) এর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।