ককটেল বোমা ফাটিয়ে পালানো সময় জামায়াত-বিএনপির দশ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ । গতকাল বুধবার রাত ৮ টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের শ্যামপুর-গোপীবল্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের রোকন মোঃ শাহজান আলী (৪৩), জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মোঃ মাগরিবুর রহমান (৪৮), আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মিনারুল ইসলাম (৪২), হারদি ইউনিয়ন জামায়াতের রোকন মোঃ জুবায়ের (৫৮),কুমারি ইউনিয়ন জামায়াতের সদস্য মোঃ নুর ইসলাম (৫৮), কালিদাসপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ জামির আলী (৫৫), ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ মেহেদী হাসান (৪৮), মোঃ হাবিবুর রহমান (৬৫), মোঃ আনারুল ইসলাম (৩৭), মোঃ মুরাদ আলী (৩৬)।
গ্রেপ্তারকৃত সকল আসামীরা জামায়াত-বিএনপির সক্রিয় সদস্য। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে নাশকতা পরিকল্পনার মামলাও রয়েছে।
পুলিশ জানায়, গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের শ্যামপুর-গোপীবল্লভপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সমবেত হন বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মীরা। যানবাহন ভাঙচুর, বিদ্যুৎ অফিস ও খাদ্যগুদামে অগ্নিসংযোগ করে জনমনে আতঙ্ক ও অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির প্রস্তুতি নেন তারা। খবর পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ককটেল বোমা ফাটিয়ে দৌড়ে পালাতে থাকেন নেতাকর্মীরা। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে জামায়াত-বিএনপির ১০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে। এছাড়া অনেক নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কালো স্কচটেপে মোড়ানো ৯ টি হাত বোমা, বিস্ফোরিত বোমার ৮ টি লোহার জালের কাঠি, দুই টুকরা বিস্ফোরিত বোমার টিনের অংশ, ১৮ টি বাঁশের লাঠি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১০ জন জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।