টিন কেটে চুরি সিন্ডিকেটের মূল হোতা কিশোর আরাফাতকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার পৌর এলাকার কাছারি বাজার প্রাঙ্গণে এক মাদ্রাসার ভ্যানের ব্যাটারি চুরির সময় সে গণধোলাই শিকার হয়। একপর্যায়ে ওই কিশোরকে পুলিশে তুলে দেয় স্থানীয়রা।
কিশোর আরাফাত হোসেন (১৯) কালিদাসপুর ইউনিয়নের আসাননগর গ্রামের হাসান শেখের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন যাবৎ আবারো আলমডাঙ্গার বিভিন্ন অঞ্চলে টিনের চালা কেটে চুরির ঘটনা ঘটছে। এমন ঘটনায় অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ঘরের টিনের চালা কেটে চুরির ঘটনা সংগঠিত হয়নি। হঠাৎ এমন চুরির রহস্যের সৃষ্টি হয়।
ইতোপূর্বে গত ২ মাস পূর্বে টিন কেটে চুরির চোর চক্রের মূল হোতা আরাফাত দামুড়হুদা থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)র বাড়ি থেকে বাগানের লিচু বিক্রির টাকা চুরি করে হঠাৎ নিরুদ্দেশ হয়। তারপর থেকেই আলমডাঙ্গায় টিন কেটে চুরির তৎপরতা কমলেও কিশোর আরাফাতের মা পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তোলেন।
চোর চক্রের মূল হোতা আরাফাতের তথ্য মতে , গত কয়েক মাস যাবৎ কুষ্টিয়া পোড়াদহ স্টেশন থাকা শুরু করে আরাফাত। ওখানেই বিভিন্ন অঞ্চলের কিশোরদের যোগসাজশে আরো বড় চোর চক্রের সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। সন্ধ্যার ট্রেনে আলমডাঙ্গা আসে চোরচক্রের সদস্যরা। দীর্ঘ সময় স্টেশনের অদূরে সিগনালের নিকট অবস্থান করে। রাত হলেই বেরিয়ে পড়ে চুরি করতে। রাত-ভোর চুরি করে আবারো মাঝ রাত কিংবা সকালের গোয়ালন্দ ট্রেন যোগে পোড়াদহ স্টেশনে পৌছাই তারা।
গতকাল শনিবার সকালে আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার কাছারি বাজার প্রাঙ্গণের দারুস সুন্নাহ নুরানি মাদ্রাসা থেকে তিনটি পাখি ভ্যানের ব্যাটারি চুরি করে। ব্যাটারি তিনটি নিয়ে যাবার সময় স্থানীয়রা তাকে ধরে গণধোলাই শেষে পুলিশে সোর্পদ করে। এলাকাবাসীর উপস্থিতি টের পেয়ে আরাফাতের সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে চুরি আইনে মামলা করেছে আলমডাঙ্গা থানাপুলিশ।