আলমডাঙ্গার বক্সিপুর গ্রামের ষাটোর্ধ মনিয়া মন্ডল একের পর এক বিয়ে করে পরিবারকে নরকে পরিনত করার অভিযোগ তুলেছে তার পরিবারের সদস্যসহ প্রতিবেশীরা।
তৃতীয় বিয়ে করতে গিয়ে ৪০ বছরের সংসার জীবনের প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেয়ায় গ্রামে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। এই ঝড় ঠেকাতে মনিয়া মন্ডল ছেলেদের নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে নাজেহাল করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
প্রতিবেশীরা জানায়, বক্সিপুর গ্রামের মনিয়া মন্ডল প্রথমে বিয়ে করেন উপজেলার বেলগাছি গ্রামের শুকুর আলীর মেয়ে সাজেদা খাতুনকে। এই সংসারে দুইটি ছেলে ও দুইটি মেয়ে রয়েছে। এদের কারো কারো বিয়ে হয়ে সন্তানাদিও হয়ে গেছে। কিন্ত মনিয়া মন্ডল হুট করে আলমডাঙ্গার কালিদাসপুর ইউনিয়নের মনাকষা গ্রামের কাজলী নামের এক মহিলাকে বিয়ে করে ঘরে তোলেন।
এতে প্রথম পক্ষের চার ছেলে-মেয়ে তীব্র আপত্তি তুলতে থাকেন। তবে কোন বাঁধ মানেননি মনিয়া মন্ডল। তিনি নতুন স্ত্রী কাজলীকে নিয়ে একের পর এক মাঠের জমি বিক্রি করতে শুরু করেন। আর নিঃস্ব হতে থাকেন তার চার ছেলে-মেয়ে। কাজলীকে নিয়ে জমি বিক্রির টাকাই বেশ ভালই চলছিল মনিয়া মন্ডলের। কিন্ত বছর খানেকের মাথায় হঠাৎ করেই কাজলীকে তিনি তালাক দিয়ে দেন।
দ্বিতীয় স্ত্রী কাজলীকে তালাক দিয়েই তিনি ক্ষান্ত হননি। প্রায় একই সাথে ৪০ বছরের সংসার জীবনের প্রথম স্ত্রী সাজেদাকেও এবার তালাক দিয়ে দেন। এরপর মাস তিনেকের মাথায় বলা নেই কওয়া নেই দুর্লভপুর গ্রামের কালুর মেয়ে পারুলাকে বিয়ে করে ঘরে তোলেন। এবার রীতিমত পাড়া-মহল্লায় হৈচৈ পড়ে যায়।
মনিয়া মন্ডলের ছেলে রইছ উদ্দিন বলেন, বাবা অকারনেই বারেবার বিয়ে করেন এতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্ত আমাদের মাঠে ৭ বিঘা জমি ছিল বাবার বারবার বিয়ে করার কারণে সব শেষ হয়ে গেছে। এখন কেবল বাড়ির জমিটুকু আছে। তাও বিক্রি করার পায়তারা চলছে। বাবার কারণেই আমরা নানা অভাব-অনটনে দিন কাটাচ্ছি। আবার আমাদের নামেই থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছেন বাবা।