আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া ব্রিজে পুলিশের ধাওয়ায় নিখোঁজ সবজি বিক্রেতার লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে নতিডাঙ্গা ঘাট সংলগ্নের মাথাভাঙ্গা নদী থেকে এ লাশটি উদ্ধার করে।
জানাযায়, আলমডাঙ্গা উপজলার ভাংবাড়িয়া গ্রামের পার্শ্ববর্তী মাথাভাঙ্গা নদীর তীরবর্তী বাঁশ বাগানের নিচে ৪ জন বসে তাস খেলছিলেন। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় হাটবোয়ালিয়া ক্যাম্প পুলিশের টুআইসি এএসআই জাহিদুল ইসলাম দুজন কনস্টেবলকে সঙ্গে নিয়ে ওই চারজনকে ধাওয়া দেন।
পুলিশের তাড়া খেয়ে নদীতে ২ জন ঝাঁপ দেয়। একজন সাঁতরে ডাঙায় আসলেও সবজি ব্যবসায়ী টোকন নিখোঁজ হয়। টোকন সাঁতার না জানায় মাথাভাঙ্গা নদীর পানির স্রোতে ভেসে যায়।
এলাকাবাসী জানান, আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়ীয়া ফেরিঘাটপাড়ার আবদুর রহমানের ছেলে আকছেদ আলী, ইয়াদুল হকের ছেলে কবিরুল ইসলাম, ছুন্নত আলীর ছেলে নাজিম উদ্দিন ও ওদু ছদ্দিনের ছেলে টোকন আলী
এ সময় কবিরুল ইসলাম ও আকছেদ আলীকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশ। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে অপর দুজন নাজিম উদ্দিন ও টোকন আলী মাথাভাঙ্গা নদীতে ঝাঁপ দেন। কিছুক্ষণ পর নাজিম উদ্দিন সাঁতরে ওপারে চলে গেলেও সাঁতার না জানার কারণে টোকন আলী স্রোতের তোড়ে তলিয়ে যান।
দীর্ঘ সময় পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় নিখোঁজ টোকনকে খুজতে থাকে।পরবর্তীতে খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মাথাভাঙ্গা নদীর প্রায় ৩/৪ কিলোমিটার অনুসন্ধান চালায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়াদি ইউনিয়নের নতিডাঙ্গা ঘাট সংলগ্ন থেকে নিখোঁজ টোকনের লাশ উদ্ধার করে।
সংবাদটি লেখা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান পক্রিয়াধীন ছিলো।
বিস্তারিত আসছে…