আলমডাঙ্গার কামালপুর গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় ৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগে শিক্ষক শাকিলসহ কামালপুর গ্রামের ৮ জনকে আসামি করে এ মামলা করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার কামালপুর গ্রামের নাজমুল ইসলাম গত প্রায় ৫ মাস পূর্বে সৌদি আরব গেছেন। নাজমুলের স্ত্রী সোনিয়া খাতুন (২৫) তার ৫ বছরের শিশুকন্যাকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বসবাস করতেন।
এদিকে স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে সোনিয়া খাতুনের উপর কু-নজর পড়ে কামালপুর গ্রামের মঙ্গল আলীর ছেলে স্কুল শিক্ষক শাকিল হোসেন (৪৫)’র।
শাকিল হোসেন আঠারোখাদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার পরও তিনি একজন গৃহবধূকে নানা ভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।
গ্রাম ঘুরে জানা যায়, সোনিয়ার স্বামী বিদেশ চলে যাওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশি ছোট ভাইয়ের বউ সোনিয়া খাতুনের সাথে শাকিল হোসেন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
চারিদিকে জানাজানি হলে লোক লজ্জায় গত এক মাস আগে সোনিয়া খাতুন সম্পর্কের ইতি টানে। বন্ধ করে দেয় শাকিল হোসেনের সাথে যোগাযোগ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাকিল হোসেন তার সাথে সোনিয়ার পরকীয়া সম্পর্ক আছে বলে গ্রামে প্রচার শুরু করে ।
পরে শাকিলের সাথে একই গ্রামের মৃত খবিরের ছেলে বয়স্ক কলিম উদ্দীন, ফনির ছেলে দোকানি রনি, আবুল কাশেমের ছেলে উজ্জ্বলও সোনিয়া খাতুনকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে ।
এ সব কথা শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে বললেও তারা কোন পদক্ষেপ নেননি। বরং মেয়ের শ্বশুর সিরাজুল, শাশুড়ি ছায়েরা খাতুন ও মেয়ের জা মুক্তা খাতুন এসব কথা নিয়ে সোনিয়াকে ভৎসনা করতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে গত ২৫ ফেব্রয়ারি ভোরে ঘরের আড়াই গলায় ওড়নায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সোনিয়া ।
এ আত্মহত্যার পর পর অভিযুক্ত শিক্ষক শাকিলসহ উক্ত ৬ ব্যক্তিই নিরুদ্দেশ রয়েছেন। এদের সকলকেসহ শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম ও শ্বাশুড়ি ছায়েরা খাতুন ও জা মুক্তা খাতুনকেও আসামি করা হয়েছে।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শাকিল হোসেন বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক। ৭/৮ বছর পূর্বে শেফালী খাতুন নামের পাঁচলিয়া গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করেছেন। শেফালী খাতুনও শিক্ষক। তারা স্বামী-স্ত্রী আঠারখানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরী করেন।