আলমডাঙ্গা থানাপাড়ায় ক্রয়কৃত সম্পত্তির ওপর বাড়ি করতে গিয়ে কতিপয় প্রতিবেশীর হয়রানীর শিকার হওয়ার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আসাদুল হক।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আসাদুল হক বলেন, তার স্ত্রী মোছাঃ রাশেদা খানমের নামে আনুমানিক ২৫ বছর আগে রওশন আলী ও বাবুর কাছ থেকে থানাপাড়ায় দুই দাগে একতলা বাড়িসহ ৮ শতক ৫৬ পয়েন্ট জমি ক্রয় করি।
৭২ নং গোবিন্দপুর মৌজায় ১ নং ওয়ার্ডের থানাপাড়ায় অবস্থিত সিএস ১৮১০ এবং ৪৭৩৭ দাগে ৬ শতক ওই ৩৮৩১ দাগে ২ শতক ৫৬ পয়েন্টসহ দুই দাগে মোট ৮ শতক ৫৬ পয়েন্ট জমি। জমিসহ ক্রয়কৃত বাড়িতে আমরা পঁচিশ বছর ধরে বসবাস করে আসছি। সম্প্রতি একতলা ভেঙে জমিটিতে ৬ তলা বিশিষ্ট একটি বাড়ি নির্মান কাজ শুরু করেছি। এ লক্ষে আলমডাঙ্গা পৌরসভায় বাড়ির নকশা অনুমোদনের আবেদন করেছি।
তিনি জানান, বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করার পরপরই সরকারি জমিতে বসবাস করতে থাকা আমার প্রতিবেশী মিজানুর রহমান ও রিজু আহমেদ আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যারচার ছড়িয়ে বেড়াতে শুরু করে। তারা বলে বেড়ায় আমি সরকারি জমিতে নাকি বাড়ি নির্মাণ করছি।
তিনি আরো জানান, যে জমির বিষয়ে তারা অভিযোগ করছে সেটি আমার বাড়ির পিছনে । ১১ শতক ৩১ পয়েন্ট সরকারী এপি সেই সম্পত্তির মধ্যে মিজানুর রহমান ৫ শতক ৩১ পয়েন্ট, রিজু আহমেদ ৫ শতক ও আমার স্ত্রী রাশেদার খানমের নামে ১ শতক লীজ নেওয়া। তারা সরকারি ওই এপি সম্পত্তি অনেক আগে থেকেই ভোগদখল করে আসছেন। আমার ক্রয়কৃত নিজ বাড়ির পূর্বদিকে ১ শতক সরকারি এপি সম্পত্তিতে বাগান রয়েছে। আমি এপি সম্পত্তিতে বাড়ি নির্মাণ করছি না।
আসাদুল হক বলেন, কেবলমাত্র হিংসার বশবতি হয়ে একটি কুচক্রিমহল আমাকে ও আমার পরিবারকে সামাজিকভাবে হয়রানি করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এ অবস্থায় প্রতিপক্ষরা আলমডাঙ্গা ভুমি অফিসে অভিযোগ দেয়। ভুমি অফিসের কর্মকর্তারা একাধিকবার সার্ভেয়ারসহ ঘটনাস্থল মাপজোক করে প্রতিপক্ষদের এপি সম্পত্তি বুঝিয়ে দিয়ে যান। উল্লেখিত ১১৩১ দাগের জমিতে আমি কোন বসতবাড়ি করছি না।
আসাদুল হক জানান, আমি আমার নিজ উদ্যোগে চার দফা আমিন ডেকে মাপজোক করে আমার জমি বুঝে নেই। তৃতীয় দফায় এসপি মহোদয়, পৌর মেয়র মহোদয় ও ওসি মহোদয়ের অনুমতিক্রমে খুলনা থেকে আমিন এনে মাপজোক করে প্রতিপক্ষদের জমি বুঝিয়ে দেন। এপি’র ১১ শতক ৩১ পয়েন্ট দাগের সম্পত্তির দলিল ও রেকর্ড থাকা সত্বেও ভুলক্রমে আমার ৬ শতক জমির মধ্যে ম্যাপ কাটা পড়ে। ওই ম্যাপে আনুমানিক ১ শতক ১০ পয়েন্ট জমি ম্যাপে ওঠে। আমি আমার ম্যাপ সংশোধনের জন্য আদালতে আবেদন করেছি। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বাড়ির একতলার ঢালাই সম্পন্ন হওয়ার পরও বিতর্ক এড়াতে এসি ল্যান্ড মহোদয়ের নির্দেশে বাড়ির কাজ আপাতত বন্ধ রেখেছি।
তিনি সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের নিকট ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেছেন।