আলমডাঙ্গার কাটাভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই প্রার্থীর মধ্যে উত্তেজোনা। অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন। খবর পেয়ে স্কুলে উপস্থিত হয় আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহি অফিসার রনি আলম নুর ও ওসি সাইফুল ইসলাম। পৃথক দুই পক্ষ বিভিন্ন অভিযোগ তোলেন প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। কাটাভাঙ্গা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কারণেই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্কুলের শিক্ষার্থীদের অবিভাবকেরা।
জানাগেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদি ইউনিয়নের কাটাভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ কমিটি গঠনের পূর্বে করোনাকালীন সময়ে এডহব কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ করে ইউনুচ আলি। সে গত কয়েক মাস যাবৎ ওই স্কুলের এডহব কমিটির সভাপতি হিসাবে দায়িত্বপালন করেন। ইতো মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের আইন অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাসুদুল ইসলাম।
এ বিজ্ঞপ্তির পরিপেক্ষিতে কাটাভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিতে এ্যাডভোকেট মকলেছুর রহমান ও সাবেক এডহব কমিটির সভাপতি ইউনুচ আলি প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থী মকলেছুর রহমান অভিযোগ তোলেন প্রধান শিক্ষক মাসুদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে ভোট কারচুপি হচ্ছে।
এদিকে প্রার্থী ইউনুচ আলি দাবি করেন প্রার্থী মকলেছুর রহমান ভোট কারচুপি করে নির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য হুমকিসহ তার নেতাকর্মীদের দিয়ে সহিংসতা সৃষ্টির পায়তারা করছে। শনিবার সকাল ১০ টা থেকে শুরু হয় কাটাভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন। দুপুর ১২ টার দিকে দুই প্রার্থীর মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্কুল প্রাঙ্গণে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে দ্রুত আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহি অফিসার রনি আলম নুর ও ওসি সাইফুল ইসলাম স্কুলের ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ক্ষণিকের মধ্যের স্কুল প্রাঙ্গণে স্থবিরতা বিরাজ করে। বিকাল ৪ টা পর্যন্ত সুষ্টু নির্বাচনে প্রার্থী এ্যাডভোকেট মকলেছুর রহমান বিজয় লাভ করেন।