আলমডাঙ্গা উপজেলা মৎস্য অঅধিদপ্তরের ১৪ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
আজ বুধবার সকাল ১১ টার দিকে বিদ্যুৎ কর্মীরা এসে মৎস্য অধিদপ্তরের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এতে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ায় ভাপসা গরমে চরম দুর্ভোগে পড়েন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। দাপ্তরিক কাজে ব্যাঘাত ঘটে। মৎস্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে চলতি জুনে বকেয়া বিল পরিশোধের শর্তে ২ ঘন্টাপর আবারো পুনঃসংযোগ দেন বিদ্যুৎ বিভাগ।
মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) আওতায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছিল। দপ্তরের অর্থ সংকটের কারণে ১২ মাসে প্রায় ১৪ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়ে। বিদ্যুৎ বিভাগ দফায় দফায় বকেয়া বিল পরিশোধ করতে নোটিশ দিলেও মৎস্য অধিদপ্তরের কর্তৃপক্ষ বিল পরিশোধে ব্যর্থ হন। ফলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।
বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ ওজোপাডিকোর আবাসিক প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহিম বলেন, ‘মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষকে দফায় দফায় বকেয়া বিল প্রদানের নোটিশ দেয়া হলেও তারা বিল পরিশোধ করছে না। তাঁরা আমাদের নোটিশের কোন উত্তর দেননি। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পরও মৎস্য কর্তৃপক্ষ চলতি জুনে বকেয়া বিল পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছেন। তাঁরই পরিপ্রেক্ষিতে দুপুরে পুনঃসংযোগ দেয়া হয়েছে।’
এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কামরুন্নাহার আঁখি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দপ্তরে বরাদ্দ আসে প্রতি জুন মাসে। গত ১২ মাসে প্রায় ১৪ হাজার টাকা বিল বকেয়া হয়েছে। গোপনে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। পরে বিদ্যুৎ বিভাগকে বকেয়া বিল পরিশোধের চাহিদাপত্র পাঠানো হলে আবারো তাঁরা পূনঃসংযোগ দেন। এতে তীব্র ভাপসা গরম ও অন্ধকারে কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।