আলমডাঙ্গার আঁইলহাস ইউনিয়নের বাগুন্দা গ্রামে ভানু বেগম (৫৫) নামের এক মহিলার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর ঘটনায় ছেলের বউ শিমা খাতুনের হাত থাকতে পারে এ সন্দেহে পুলিশ লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত ভানু বেগম আইলহাঁস ইউনিয়নের বাগুন্দা গ্রামের মৃত গঞ্জের ফকিরের স্ত্রী। সুস্থ মানুষ রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ার পর বিছানায় সকালে তাঁর মৃত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
প্রতিবেশীরা জানান, নিহতের ছেলে জামাল ফকির কিছুদিন যাবৎ পাবনাতে অবস্থান করছে। এই সুযোগে শিমা খাতুন তার শাশুড়িকে ঠিকমত দেখভাল করতো না। তাকে সব সময় মানসিকভাবে নির্যাতন চালাতো। গত রাতেও সে শাশুড়ির সাথে খারাপ আচরণ করে। রাতে সুস্থ’ ভানু বেগম ঘুমানোর পর সকালে প্রথমে শিমা খাতুনই শাশুড়ির মৃত্যুর খবর প্রতিবেশীদের জানায়। এতে প্রতিবেশীসহ ভানু বেগমের আত্মীয়স্বজনের মধ্যে তীব্র সন্দেহ দেখা দেয়।
খবর পেয়ে ভানু বেগমের ভাই আসাদুল ইসলাম আশা বোনের বাড়িতে এসে কিভাবে তার বোন মারা গেল জানতে চাইলে শিমা খাতুন লাঠি দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। এ ঘটনায়ও সবার মাঝে শিমা খাতুনকে নিয়ে সন্দেহ বাড়তে থাকে। শিমা খাতুনই তাঁর শাশুড়িকে রাতের যে কোন সময় হত্যা করতে পারে এমন অভিযোগ উঠতে থাকে।
সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। নিহতের ঘটনায় সন্দেহ দেখা দেওয়ায় পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
থানার অফিসার ইনচার্জ আলমঙ্গীর কবির জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের রির্পোট হাতে এলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।