আলমডাঙ্গা অফিস : আলমডাঙ্গার ফাতেমা টাওয়ারের মালিক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসা প্রদানে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ভূল চিকিৎসার কারণে পোলতাডাঙ্গা গ্রামের টিটন হোসেন নামের এক যুবকের পা কেটে ফেলতে হয়েছে উল্লেখ করে রোববার দুপুরের থানায় এ অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে,আলমডাঙ্গার পোলতাডাঙ্গা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে টিটন হোসেনের গত আড়াই মাস পূর্বে পাখি ভ্যানের সাথে দুর্ঘটনা ঘটে। এতে তার একটা পা ভেঙ্গে যায়।
ভাঙ্গা পা নিয়ে তিনি আলমডাঙ্গার ফাতেমা টাওয়ারে আসেন। সে সময় বাদি মঞ্জুরুল ইসলাম পা ভালো করে ড্রেসিং না করে ব্যান্ডিজ করে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে ৩ দিন পর আসতে বলেন।
দুদিন পর পায়ে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে তিনি আবারো ফাতেমা টাওয়ারে আসলে তাকে জানানো হয় বড় ডাক্তার দেখাতে হবে। পরে টিটন হোসেন রাজশাহী মেডিকেলে গিয়ে ভর্তি হন। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে জানায় পা পচে গেছে শরীর থেকে কেটে বাদ দিতে হবে।
পরে তার পা কেটে বাদ দেওয়া হয়। বর্তমানে টিটন হোসেন পঙ্গু হয়ে গেছেন। ভুল চিকিৎসায় তার এই করুন পরিনতির বিষয়ে পরবর্তীতে মঞ্জুরুল ইসলামকে জানাতে গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। নানা ভাবে তাকে হুমকি দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে বিষয়টি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের নিকট দাবী জানানো হয়েছে ।
এদিকে এ বিষয়ে ফাতেমা টাওয়ারের মালিক ডা: মঞ্জরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার ক্লিনিকে ঐ রোগীকে নিয়ে আসলে, দেখছিলাম তার পায়ের নিচের হাড় ভেঙ্গে গেছে। আমরা তাকে দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রেফার্ড করি। আমাদের ক্লিনিকে হাড়ের ডাক্তার না থাকায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বলেছিলাম। কিন্ত তারা চিকিৎসা না করিয়ে বাড়ী নিয়ে যায়। পরে তারা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তারা দেখে রাজশাহী রেফার করে। রাজশাহীতে ডাক্তার দেখার পর সেখানে বলেছে, খুব দেরী হয়ে গেছে। এখানে আমরা কোন ভাবেই দায়ী নই।