আলমডাঙ্গা উপজেলার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে ভুয়া ডিগ্রিধারী ডাক্তার। এসব হাতুড়ে ডাক্তারের ভূতুড়ে চিকিৎসায় বিপাকে পড়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, এই অপচিকিৎসার বিষয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানানো হলেও রহস্যজনক কারণে ভুয়া ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।
সূত্র জানায়, কমপক্ষে এমবিবিএস বা বিডিএস ডিগ্রি প্রাপ্তরা ছাড়া কেউ নামের আগে ডাক্তার পদবি লিখতে পারবেন না। অথচ অনেকেই তাদের প্রেসক্রিপশন প্যাডে নামের আগে ‘ডাক্তার” ডিগ্রী লাগিয়ে রোগীদের জটিল কঠিন রোগের চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নের বটিয়াপাড়া-শিয়ালমারী গ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুর ১ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস এ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় রীম্পা ফার্মেসীর নাম ব্যবহার করে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প করার নামে ডাক্তার না হয়েও তার নামের আগে ডা: ব্যবহার করে রোগী দেখছিল নাসির উদ্দীন নামের এক ভুয়া চিকিৎসক। এমন অভিযোগে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন উপজেলা প্রশাসন। ভুয়া চিকিৎসক সেজে চিকিৎসা দেবার কারণে ভুয়া চিকিৎসক নাসির উদ্দীনকে (৪০) কে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভুয়া চিকিৎসক নাসির উদ্দীন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পলাশ পাড়ার সালেহ আহম্মেদের ছেলে।
এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত রীম্পা ফার্মেসিতে ভুয়া চিকিৎসক দিয়ে প্রেসক্রিপশন করে ঔষধ বিক্রি করার অপরাধে সাগর হোসেন (৩১) নামের এক ফার্মেসী ব্যবসায়ীকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযুক্ত ফার্মেসী ব্যবসায়ী সাগর হোসেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মাদ্রাসা পাড়ার শুকুর আলীর ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন খাদিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মোজাহিদুর রহমান জোয়ার্দ্দার লোটাস ও স্থানীয় ক্যাম্প পুলিশের একটি দল।