আলমডাঙ্গায় সার্বক্ষণিক চিকিৎসক এবং প্রশিক্ষিত নার্স ছাড়াই রোগী চিকিৎসা দেবার অভিযোগে ফিরোজ ক্লিনিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া একই অভিযোগে কালিদাসপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আল-মদিনা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিককেও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার বিকেলে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট স্নিগ্ধা দাসের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ডাউকি ইউনিয়নের হাউসপুর এলাকার ফিরোজা ক্লিনিকে সার্বক্ষণিক এমবিবিএস ডাক্তার ও প্রশিক্ষিত নার্স ছাড়াই রোগী ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। এ ছাড়াও একই অভিযোগে কালিদাসপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আল-মদিনা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিককেও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট স্নিগ্ধা দাস বলেন, সার্বক্ষণিক চিকিৎসক ও নার্স ছাড়াই একটি হাসপাতাল চালানোর অভিযোগে মালিকের ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মালিক জরিমানার টাকা সঙ্গে সঙ্গে পরিশোধ করে দেন।
এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযুক্ত ডাঃ নজরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমার ক্লিনিকে লাইসেন্সসহ সকল কাগজপত্র সঠিক আছে। আমি সার্বক্ষণিক ক্লিনিকে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকি। প্রশিক্ষিত নার্সও আছেন ঘটনার সময় তিনি ছুটিতে ছিলেন। তিনি আরও বলেন, আলমডাঙ্গার অনেক ক্লিনিকেই সার্বক্ষণিক চিকিৎসক ও নার্স নেই। সেখানে অভিযান হচ্ছে না। আমি মনে করি এটা সম্পূর্ণ ব্যক্তি ব্যক্তিগত আক্রোশ মূলক জরিমানা করা হয়েছে।