আলমডাঙ্গায় ৪০ পিচ প্যাথেডিন জব্দকৃত মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন (সশ্রম) কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে একজন আসামির উপস্থিতিতে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২য়) আদালতের বিচারক মাসুদ আলী এ রায় ঘোষণা করেন। অপর এক আসামী পলাতক রয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের ভালাইপুর গ্রামের মৃত. আজিত মণ্ডলের ছেলে আয়ুব আলী (৪৯) এবং একই গ্রামের সিদ্দিক আলীর ছেলে ওহিদুল ইসলাম (৩৯)। এরমধ্যে ওহিদুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর তৎকালীন আলমডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরিফুল ইসলাম সঙ্গীয় সোর্স নিয়ে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে ভালাইপুর মোড়ের বাসস্ট্যান্ডের নিকট থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে আয়ুব আলী ও ওহিদুল ইসলামকে আটক করে। এসময় তাদের শরীর তল্লাশী করে আয়ুব আলীর কোমর থেকে ১৯ টি এবং ওহিদুল ইসলামের কোমর থেকে ২১টি প্যাথেডিন/এম্পুল জব্দ করা হয়। ওইদিনই এসআই শরিফুল ইসলাম বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় দুজনের নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর শুনানীর পর আসামী আয়ুব আলীর উপস্থিতিতে ১০ জনের সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত দুজনকেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড নগত ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। অপর আসামী ওহিদুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। ওহিদুল যেদিন গ্রেপ্তার হবে সেদিন থেকে এ রায় কার্যকর হবে।