আলমডাঙ্গায় করোনা কাজে নিয়োজিত মেডিকেল টেকনোলোজিষ্ট (স্বেচ্ছা সেবি) এর করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে তার ঈড়ারফ-১৯ রিপোর্ট আসে সে পজিটিভ। কিন্ত তার কোনো উপসর্গ এখনো পর্যন্ত নেই। সে ভালো আছে, সুস্থ্য আছে। তিনি গত ৬ মে তারিখ হতে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বেচ্ছাসেবক হয়ে নমুনা সংগ্রহের কাজে যোগদান করে।
পরিবার পরিজনের নিষেধ উপেক্ষা করে দেশ এবং দশের কল্যানে নিজের ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে বিনা বেতনে ঈঙঠওউ-১৯ এর নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করে।
আলমডাঙ্গা উপজেলার মানুষের কথা চিন্তা করেই এই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। কারন সে জানায় আমি একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট হিসেবে বর্তমান সময়ে ঘরে বসে থাকতে পারিনি। দুঃখ হচ্ছে এতো তাড়াতাড়ি আমাকে করোনার কাছে মাথা নত করতে হলো। আজ সম্ভবত আমার উপজেলায় নতুন নমুনা সংগ্রহ হয়নি।
এর আগে গত ১২ মে তারিখে তার ১ম রিপোর্ট নেগেটিভ আসে সে পর্যন্ত সে নিজ বাড়িতেই ছিল। ১৩ তারিখ থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাদি জিয়াউদ্দিন আহমেদের নির্দেশনায় তার দেওয়া আবাসন ব্যবস্থা গ্রহন করে, এবং সেখানেই অবস্থান করে যথারীতি নমুনা সংগ্রহের কাজ করতে থাকে। এবং ১৫ মে তারিখে নতুন করে নমুনা দেয়।
১৭ মে তারিখে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। মঙ্গলবার অফিসিয়ালি রিপোর্ট আসার পর ডা. হাদি জিয়াউদ্দিন আহম্মদের পরামর্শে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলশনে আছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎক প্রতিনিয়ত তার খোঁজ খবর রাখছেন। তার এখনো কোনো প্রকার উপসর্গ দেখা দেইনি।
মঙ্গলবার থেকে অনেক শুভাকাক্সক্ষীরা ফোনে খোঁজখবর নিয়েছে, তার করোনা পজেটিভের কথা চিকিৎসক ব্যাতিত কাউকে জানাতে চাইনি। পরে তার পরিবারকে জানিয়েছে। তার বর্তমান অবস্থা নিয়ে বন্ধু বান্ধব সহ সবাই খুব চিন্তিত, বিশেষ করে মুন্সিগঞ্জ এলাকার লোকজন।
তিনি গত ১৩ মের পর থেকে তার নিজ এলাকায় যায়নি। এবং তখন থেকে সে নিজ বাড়িতে আলাদা একা একটি ঘরে থাকত। এবং আলাদা বাথরুম সহ খাওয়া দাওয়া সব আলাদা করত। এমনকি ইফতারিও আলাদা করত।
তিনি সুস্থ্য আছে, স্বাভাবিক আছে। সে তার জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছে, যেন দ্রুত সুস্থ্য হয়ে আবারও সকলের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারে।