জমে উঠেছে আলমডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। পোস্টার, ব্যানার, আর লিফলেটে ছেয়ে গেছে পুরো পৌর এলাকা। গান-ছন্দে প্রার্থীদের মাইকের আওয়াজ শহর-গ্রামে।
গণসংযোগে রাতদিন ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। প্রার্থনা করছেন ভোট, দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। যোগ দিচ্ছেন উঠোন বৈঠকে।
এদিকে, থেমে নেই কর্মীরা। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে নিজেদের প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইছেন ভোটারদের কাছে। থেমে নেই নারী কর্মীরাও। তারাও দলে দলে ভোট চাইতে যাচ্ছেন এ বাড়ি ও বাড়ি।
নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই সরগরম হচ্ছে ভোটের মাঠ। প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডে হচ্ছে কোন কোন প্রার্থীর নির্বাচনী পথসভা।
পাড়া মহল্লার চায়ের দোকানগুলোতে অনেক রাত পর্যন্ত চলে সাধারণ ভোটারদের ভোটের করচা। চায়ের কাপে চুমুকের সঙ্গে ছোট ছোট যুক্তিতর্কে ভোটের এবং প্রার্থীর আমলনামার হিসাব মেলান তারা।
চতুর্থ ধাপে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারী আলমডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনজন প্রার্থী। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে মাঠে লড়ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে আলহাজ্ব মীর মহি উদ্দীন, জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীক না নিয়ে সাবেক মেয়র এম সবেদ আলি মোবাইল ফোন নিয়ে নির্বাচন মাঠে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
আলমডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় মনোনীত ২ জনসহ মেয়র পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন । ৯টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১২ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অন্যদিকে, এ পৌরসভায় সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে বিএনপি এবং বিদ্রোহী প্রার্থীর অভিযোগ রয়েছে।
মেয়র প্রার্থী শহিদুল ইমলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘নৌকার প্রার্থী মাঠে ময়দানে বলে বেড়াচ্ছেন, তারা একটি ভোট পেলেও জয়ী হবেন। এতে সাধারণ ভোটাররা নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে আশঙ্কায় আছেন।’
জাসদ ও বিএনপি প্রার্থীরা বলেন , ‘আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর জনপ্রিয়তা শূন্যের কোটায়। তাই তারা বিভিন্নভাবে নির্বাচনকে প্রভাবিত করছে এবং আমার ভোটারদের হয়রানি করছে।
তবে, এবারের পৌর নির্বাচন নিরপেক্ষ ও অবাধ সুষ্টু নির্বাচনের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাসান কাদির গনু বলেন, ‘পৌর নির্বাচনে কোন প্রার্থীর সঙ্গে কিংবা কর্মীদের কোন হয়রানি হবে না। তাদের জনপ্রিয়তা কম হওয়ায় নৌকার প্রার্থীদের নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করছে। আমি মনে করি, তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। তাছাড়া কারও পক্ষে নির্বাচনকে বিতর্কিত করার কোনো সুযোগ নেই। সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে নৌকার বিজয় নিশ্চিত হবে।’
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার বলেন, আলমডাঙ্গা পৌরসভার ভোট গ্রহণের সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। এখন পর্যন্ত নির্বাচনী পরিবেশ সুন্দর রয়েছে। আশা করছি, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণ হবে।