আলমডাঙ্গা পৌর শহরে নিকাহ রেজিস্ট্রার আব্দুস সালাম নিজেকে সরকারি কাজী পরিচয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়াও বিবাহ রেজিস্টারে ও ডিভোর্সের নামে ভুক্তভোগীদের নিকট থেকে সরকারি ফি এর চাইতে দ্বিগুণ অর্থ নেয় বলে অনেকে অভিযোগ করে। বাল্য বিবাহ আইন অমান্য করেও বিবাহের নামে মোটা অংকের টাকার মাধ্যমে দীর্ঘিদিন যাবৎ এসব অপকর্ম করে আসছে।
জানাগেছে, আলমডাঙ্গা পৌর শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ড গোবিন্দপুর মাঠ পাড়ায় দীর্ঘিদিন বিবাহ ও ডিভোর্সের কাজ করে আসছে কাজী আব্দুস সালাম।সে নিজেকে সরকারি কাজী দাবি করে।
সরকারি ভাবে অনুমোদিত থাকলেও সরকারি কাজী দাবি করা হলে আইনগত ব্যবস্থার নিয়ম থাকলেও উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তারা নিরব ভূমিকা পালন। এসুযোগে কাজী সালাম বাল্য বিবাহ সহ নিয়ম বহিভূত কাজ করে থাকে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কাজী আব্দুস সালাম জানান, আমি সরকারি কাজী। সরকারের অনুমোদন থাকায় বিল বোর্ডে সরকারি কাজী পরিচয় দিচ্ছি। যদি কোন সমস্যা হয় বিল বোর্ড তুলে ফেলবো কিন্তু আমি সরকারি কাজী।
নাম না প্রকাশের শর্তে কয়েকজন কাজী জানান, সালাম দীর্ঘদিন সরকারি কাজী নাম প্রকাশ করে নিকাহ রেজিস্ট্রি করে আসছে। তার প্রভাব বিস্তারের জন্য বিভিন্ন বৈদ্যুতিক পোলে সরকারি কাজী খ্যাতি হিসাবে বিজ্ঞাপন দিয়ে আসছে। তবে, সে সরকার অনুমোদিত কাজী কিন্তু সরকারি নয়।
এবিষয়ে জেলা নিকাহ রেজিস্ট্রি কমিটির সভাপতি মসলেম জানান, জেলায় কোন সরকারি কাজী নাই। সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত অনুমতিতের ভিত্তিতে নিকাহ রেজিস্ট্রির কাজ করে থাকি।
তিনি আরো বলেন, যদি সরকারি কাজী হিসাবে নাম ব্যবহার করে তবে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহি অফিসার এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ গ্রহন করতে পারে।
আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহি অফিসার রনি আলম নুর জানান, বিল বোর্ডের মাধ্যমে কোথাও সরকারি কাজী পরিচয় দিলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, বাল্য বিবাহ সহ অতিরিক্ত টাকা নিয়ে থাকলে তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।