আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুনের এক বিশাল নির্বাচনী জনসভা অনুষ্টিত হয়েছে। আজ বিকেলে আলমডাঙ্গা ফুটবল মাঠে এ নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌকার প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।
আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু মুছার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্নসাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম টোটন জোয়ার্দ্দার, জেলা জাসদের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলী, সাবেক জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রশিদ মোল্লা, প্রশান্ত অধিকারী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমঙ্গীর হান্নান, মাসুদুজ্জামান লিটু বিশ্বাস, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের আইন উপ-কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট হামিদুল ইসলাম হামিদ, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল ইসলাম পানু, হারদি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু, জেলা যুবলীগের আহবায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার।
জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন,আমি মনে করে ছিলাম ছোটখাটো একটা জনসভা হবে। কিন্তু এতো মানুষ আমি রাস্তা দিয়ে আসতে পারি নাই। রাস্তায় শুধু মানুষ আর মানুষ। মুন্সিগঞ্জ ঘুরে বন্ডবিল হয়ে এসেছি। এখন রাস্তায় মানুষ আর মানুষ। আলমডাঙ্গাবাসী আজ প্রমাণ করেছে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা এখন মরে নাই। যে কোন অশুভ শক্তির মোকাবেলা করার ক্ষমতা বঙ্গবন্ধুর সৈনিকের রাখে।
আজকে কত লোক নমিনেশনের আগে বলেছিল নমিনেশন যে পাবে, তার ভোট করবে। ওরা হচ্ছে পাকা চিটার।
তিনি বলেন, আজকে কে কি করলো আমাদের ভাবার দরকার নেই। বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ যুবলীগ,ছাত্রলীগসহ যত সহযোগি সংগঠন আছে,সকল নেতাকর্মিদের বলবো,আজকে আলমডাঙ্গার এই মাঠে আম জনতা একত্রিত হয়েছে। কয়দিন আগে এখানে একটা সভা করে ভাব নিচ্ছিল এর উপর আর বড় সভা হয় না। মিয়ারা ভোটের পরে টের পাবা। আজকে মানুষের ভেতরে যে স্বতস্ফুর্ততা বিরাজ করছে, এটা দেখেও কি বোঝো না? আজকে আমি শুধু বলবো,বাংলাদেশে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। শেখ হাসিনা শেখ হাসিনাই।
এই মাঠটি দখল হয়ে গিয়েছিল। সেই মাঠ ভেঙ্গেচুরে গোডাউন সরিয়ে স্টেডিয়াম নির্মাণ হচ্ছে। কে করেছে? এটা শেখ হাসিনা করেছে। শেখ হাসিনার নেয়ামত এটা। প্রত্যেকটা গ্রামীণ সড়ক, ইউনিয়ন থেকে ইউনিয়ন কোনটাই কাঁচা নেই। প্রত্যেক ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে বিনা পয়সায় মানুষ স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে, মা বোনেরা এখানে উপস্থিত আছেন,আপনারা জানেন শেখ হাসিনা ৫১ রকম ভাতা দিচ্ছে।শেখ হাসিনা না থাকলে কে দেবে? কেউ দেবে না। ভাতা বন্ধ করে দেবে।
কমিউনিটি ক্লিনিক ৯৬ সালে শেখ হাসিনা করেছিল। বিএনপি ক্ষমতায় এসে তা বন্ধ করে দেয়। এই হলো বিএনপির আসল রুপ। ওরা আগুন ধরায়, রেল পোড়ায়,বাস পোড়ায়,গাড়ি পোড়ায়। বিএনপি হলো আগুন সন্ত্রাসী। ওইসব আগুন সন্ত্রাসীদের থেকে আপনাদের সাবধান থাকতে হবে। ওরা দেশের মঙ্গল চাই না।
সুতরাং আপনারা, মা-বোনেরা সকাল সকাল ভোট কেন্দ্র গিয়ে নৌকায় ভোট দিবেন। আমি আবারও শেখ হাসিনার সালাম পৌঁছে দিয়ে নৌকায় ভোট চেয়ে গেলাম।
নির্বাচনি জনসভায় আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টারে সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মজিবর রহমান, কাজী খালেদুর রহমান অরুন, ঠান্টু রহমান, লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা,পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু, আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, গাংনী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু তাহের, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি সাহাবুল হক, কুমারী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান আবু সাইদ পিন্টু, হারদি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান আশিকুজ্জামান ওল্টু, খাদেমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও চেয়ারম্যান মোজাহিদুর রহমান লোটাস জোয়ার্দ্দার, ডাউকি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, বেলগাছি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান চঞ্চল, জেহালা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাসানুজ্জামান হান্নান, নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল জোয়ার্দ্দার, বাড়াদি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মকবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম লাল্টু, ভাঙবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান, আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক সোনাহার মন্ডল, যুগ্নআহবায়ক তাফসির আহম্মেদ মল্লিক লাল, জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক ও চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান সিলন, সদস্য মনিরুজ্জামান হিটু, পৌর যুবলীগের আহবায়ক আশাদুল হক ডিটু, যুগ্নআহবায়ক জাহিদুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা পাপন, শাহিন রেজা, আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, তমাল, বাদশা, রাকিব আহম্মেদ রকি, আব্দুল্লাহ আল সাকিব।