আলমডাঙ্গা উপজেলায় হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে সর্দি-কাশি-জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। উপজেলার প্রায় ঘরে ঘরেই এখন এ ধরনের রোগী। তাদের মধ্যে জ্বর নিয়ে ভীতি থাকলেও করোনা পরীক্ষায় তেমন আগ্রহ নেই খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,আলমডাঙ্গা উপজেলার বেশিরভাগ বাড়িতেই কেউ না কেউ জ্বর-কাশিতে আক্রান্ত। তবে করোনা আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে অনেকেই চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছে না।
বাড়িতেই গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে গিয়েও চিকিৎসা নিচ্ছেন। যার ফলে বিভিন্ন এলাকায় প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধসহ অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যাপক চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। সচেতনতা না থাকায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অসুস্থ অবস্থায়ও হাটবাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কেউ কেউ।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, শুরু থেকে রবিবার (২৭ জুন) পর্যন্ত উপজেলায় মোট ১৫২১ টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৪৮৮ জন। এই উপজেলায় এ পর্যন্ত মোট ২১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
জ্বর, ঠান্ডা ও গলাব্যথাসহ বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে গত এক সপ্তাহে বহির্বিভাগে ১৮০-২০০ জনের মতো রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌর এলাকার একটি মাদরাসার মুহতামিম (অধ্যক্ষ) জানান,গত তিন-চার দিন ধরে তিনি জ্বর-কাশিতে ভুগছেন। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবনে কিছুটা উন্নতি হলেও পুরোপুরি সুস্থ হননি। কিছুই হবে না বলে করোনা পরীক্ষায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাদি জিয়াউর রহমান বলেন, এই উপজেলায় জ্বর-সর্দি কিছুটা বেড়েছে। অনেকেই করোনার উপসর্গ নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসছেন। তাদের বারবার করোনা নমুনা পরীক্ষা করতে বলা হচ্ছে। তবে জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত অনেকেই করোনা পরীক্ষায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। তারা পরীক্ষা না করে হাট-বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।করোনা মহামারির এই সময়ে যে কারণেই সর্দি-কাশি-জ্বর দেখা দিক না কেন, অবহেলা না করে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।