আলমডাঙ্গায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে পৌরসভাকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে।
একই সাথে পৌরসভার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে ৫২টি ক্যামেরা। এতে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও হত্যার মতো অপরাধ নিয়ন্ত্রণ হবে বলে আশাবাদ জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই আলমডাঙ্গা পৌরসভাকে নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা বসানোর দাবি করছিল পৌরবাসী। ইতো পূর্বে আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির উদ্যোগে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হলেও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে তা সব ক্যামেরা অকেজো হয়ে যায়। যা অপরাধ মূলক ঘটনা ঘটলেও অপরাধীরা ধরা ছোয়ার বাইরে চলে যায়।
সেই দাবির প্রেক্ষিতে অবশেষে স্থানীয় সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়াদ্দার ছেলুনের অর্থায়নে প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যায়ে পৌরসভায় সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ ইতো মধ্যে শেষ হয়েছে।
মাস ব্যাপী আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সাইফুল ইসলাম ও বণিক সমিতির সেক্রেটারি কামাল হোসেনের আপ্রাণ প্রচেষ্টায় কাজ সমাপ্ত হয়েছে। ক্যামেরা স্থাপন কাজের সার্বক্ষণিক দেখভাল করেন হাবিবুল করিম চনচল।
পৌরবাজার ব্যবসায়ীরা বলেন, পৌর শহরের নিরাপত্তাসহ সবার জানমালের নিরাপত্তায় এই সিসি ক্যামেরা অনেক উপকারে আসবে। তাছাড়া পুলিশ এই সিসি ক্যামেরা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করার কারণে বাজার এলাকায় যানজট কমে আসবে।
বণিক সমিতির সেক্রেটারি কামাল হোসেন বলেন, সিসি ক্যামেরা বসানোর কারণে বাজার এলাকাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা আইনখৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারির মধ্যে থাকবে। আর এতে চুরি ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ অনেকটাই কমে আসবে।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, এই সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে পৌর শহরে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনার সৃষ্টি হলে পুলিশ সহজেই অপরাধীদের খুঁজে বের করতে পারবে। সেই সাথে ডিজিটাল মনিটরিং এর মাধ্যমে শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সার্বক্ষণিক থানার ডিউটি অফিসে দায়িত্বরত অফিসার দ্বারা নজরদাড়ি রাখা হচ্ছে।