আলমডাঙ্গার সাব-রেজিস্ট্রারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে আইন-মন্ত্রাণালয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে অতর্কিত ভাবে আলমডাঙ্গায় উপস্থিত হয় তদন্ত টিম।আইন-মন্ত্রাণালয়ের মন্ত্রীর নির্দেশে আলমডাঙ্গার সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের মহুরি ও সাধারণ জনগণের মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ নেয় তদন্ত টিম।
জানাগেছে, বাংলাদেশের সরকারসর্ববৃহৎ সরকারি প্রতিষ্ঠান সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে।এরই কারণে দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে সাব-রেজিষ্ট্রার নিয়োগ প্রদান করা হয়। গত কয়েক বছর পূর্বে আলমডাঙ্গা উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে মামুন বাবর দায়িত্ব গ্রহণ করে। শুরু হয় সাধারণ মানুষের নিকট থেকে লুটপাট।
রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ছত্র-ছায়ায় এই লুটপাট অহরহ করতে থাকে। সরকারি ভাবে জমি বিক্রেতার খারিজ না থাকলে ক্রেতা ওই জমি কিনতে পারবে না। এছাড়াও ওই জমির কোন মালিকানাও দাবি করতে পারবে না। যা সরকারি আইন বহির্ভূত। বিক্রেতার নিকট থেকে খারিজ বিহীন কোন ক্রেতা জমি কিনলে তার নামের খারিজ হবে না। তারপরও আলমডাঙ্গা উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রার মামন বাবর ৫/১০ হাজার টাকার বিনিময়ে জমি রেজিষ্ট্রি করে দেয়।
সরকারি নিয়মানুযায়ী সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত রেজিষ্ট্রি কার্যক্রম চলমান থাকার কথা। সাব-রেজিষ্ট্রার মামুন বাবর সরকারি কর্মকর্তা হলেও তিনি যোগদানের পর থেকে দুপুর ২টার দিকে অফিসে আসেন এবং রাত ১০ টার দিকে চলে যান। আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের প্রত্যন্তঞ্চলের মানুষ গুলোকে পড়তে হয় বেহাল দশায়।খারিজ বিহীন জমি রেজিষ্ট্রি করতে ৫/১০ হাজার টাকা গুনতে হয়।এছাড়াও সাব-রেজিষ্ট্রারের বিরুদ্ধে একাধিক লিখিত অভিযোগ আইন-মন্ত্রাণালয়ে।আইন-মন্ত্রাণালয়ের মন্ত্রী মহাদয়ের একান্ত উদ্যেগ এবং সাব-রেজিষ্ট্রারের দুর্নীতির চিত্র গুলো জানতেই অতর্কিত ভাবে মন্ত্রাণালয়ের উপ-সচিবসহ তদন্ত টিম আলমডাঙ্গা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে অভিযান চালায়।
সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসারের খাতা ও হাজিরা খাতা গুলোতে সকাল ৯টায় হাজির এবং বিকাল ৫ টায় ছুটি উল্লেখ থাকায় ত্রিব্য নিন্দা জানিয়ে একাধিক ব্যাক্তি তদন্ত কমিটির নিকট খোলা আলোচনা করেন। তার বিরুদ্ধে অর্পিত অভিযোগ গুলো তুলে ধরেন।
তদন্ত কর্মকর্তার নাম না প্রকাশ শর্তে তিনি বলেন,‘ আমরা আইন মন্ত্রাণালয়ের কর্মকর্তা। আলমডাঙ্গা সাবরেজিষ্ট্রার মামুন বাবরের বিরুদ্ধে একাধিক পত্রিকার কপি ও লিখিত অভিযোগ আছে। মন্ত্রী মহাদয়ের উদ্যেগে আমরা অতর্কিত ভাবে তদন্ত টিম সকাল ৯টায় আলমডাঙ্গায় পৌছায়। আলমডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে মামুন বাবরের বিরুদ্ধে অর্পিত অভিযোগ গুলো মিলিয়ে দেখেছি। তাকে এখান থেকে দ্রুত ট্রান্সফার করা হবে। মামুন বাবরের অবৈধ ভাবে উপার্জনের বিষয়েও গভির তদন্ত করা হবে।