শীত আসে মোটে মাস দুয়েকের জন্য। শীত গেলেই আর গরম কাপড় ব্যবহার করা হয় না। দীর্ঘদিন ব্যবহার করা হয় না বলেই শীতবস্ত্র সংরক্ষণ করা জরুরি হয়ে পড়ে আলমারিতে শীতবস্ত্র এমনভাবে সংরক্ষণ করতে হবে যাতে তা নষ্ট না হয়। খারাপ হওয়ার শঙ্কা দূর করার জন্য এখনই কিছু প্রস্তুতি আর প্রয়োজন শনাক্ত করে নিতে হয়। সেগুলো জানাতেই আজকের এই আয়োজন-
না ধুয়ে রাখবেন না
শীতের কাপড় ধোয়া একটা যন্ত্রণা। তবে না ধুয়ে শীতের কাপড় ভুলেও আলমারিতে ঢোকাবেন না। শীতের সময় ঘাম হয় কম। তবে শরীর তো ময়লা হয়। ময়লা বা শরীর থেকে নির্গত তৈলাক্ত পদার্থ খালি চোখে দেখা যাবে না। দেখা না গেলেও দীর্ঘমেয়াদে এগুলোর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে আমাদের জামায়। শীতবস্ত্রে ময়লা বা ঘাম কাপড়ে বাজে গন্ধ ছড়ায়। একই সঙ্গে পোকামাকড় ও ছত্রাক ডেকে আনে। তাই শীতবস্ত্র ধুয়ে নিন। যেগুলো ধোয়া যায় না সেগুলো ড্রাই ওয়াশ করে নিন। আপনারই তাতে লাভ।
কটু গন্ধ এড়াতে
আলমারিতে তোলার সময় কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল দিয়ে দিতে পারলে ভালো হয়। আবার সঙ্গে ন্যাপথালিন রাখতে পারেন। সুগন্ধী দিলে কাপড়ে কটু গন্ধ হবে না।
আলমারি প্রস্তুত করুন
শুধু জামা রেখে দিলেই কি আর হবে? আলমারি প্রস্তুতও করতে হবে। আর্দ্র ও স্যাঁতসেঁতে জায়গায় শীতবস্ত্র রাখা যাবে না। প্রথমে বস্ত্রের মাঝে টিস্যু পেপার দিয়ে দিন। মনে রাখতে হবে আর্দ্রতাই শীতবস্ত্রের মূল শত্রু। মাঝে টিস্যু পেপার থাকলে তা অতিরিক্ত আর্দ্রতা শোষণ করে নিতে পারে।
ভাজ করুন, ঝুলিয়ে রাখা নয়
শীতের পোশাক ভাঁজ করে রাখাই উত্তম। ঝুলিয়ে রাখলে উল নষ্ট হওয়ার শঙ্কা থাকে অনেক। কিন্তু একসঙ্গে অনেক সোয়েটার জমা করে রাখবেন না। এ তো গেলো শীতবস্ত্রের কথা। কাঁথা বা কম্বলের কি হবে? কম্বল বায়ুশূন্য ব্যাগে ভরে রাখতে পারলে সবচেয়ে ভালো। এতে আর্দ্রতা ও ধুলোবালি কিছুই ঢুকতে পারবে না। আলাদাভাবে প্লাস্টিক ব্যাগেও ভরে রাখতে পারেন।
পোকামাকড়ের উপদ্রব কমানোর জন্য
আলমারিতে শীতবস্ত্রগুলো সঠিকভাবে সাজিয়ে রাখুন। দীর্ঘদিন আর দেখা হবে না এই পোশাক। পোকামাকড় তাই যেকোনো সময় আক্রমণ করতে পারে। এ সমস্যা এড়াতে পোশাকের ভাঁজে ভাঁজে ও আলমারির কোনায় কোনায় ন্যাপথলিন ও নিমপাতা রাখুন।
কাজ শেষ হয়নি
শীতবস্ত্র সাজিয়ে রাখলেই যে আপনার কাজ শেষ এমনটা কিন্তু নয়। ভালোভাবে সংরক্ষণের জন্য আর পোকামাকড় মুক্ত রাখতে মাঝে মাঝে অবশ্যই এই শীতের পোশাক বা কম্বলগুলো রোদে একটু গরম করে নেবেন। এভাবে আপনি দাগও এড়াতে পারবেন। একেবারে আলমারিতে রেখে দিলেই যে নিরাপত্তা নিশ্চিত এমনটি ভাবার কারণ নেই। মাঝেমধ্যে কাপড় বের করে আলমারিও পরিষ্কার করে নিতে হবে। তবেই ভালো থাকবে শীতবস্ত্র।
সূত্র: ইত্তেফাক