প্রথমে আল্লাহ ছিলেন, আল্লাহ ব্যতীত আর কোন কিছুর অস্তিত্ব ছিল না। এমন কোনো মুহূর্ত ছিল না যখন তিনি ছিলেন না। তিনি ব্যতীত কোন বাস্তবতা ছিলনা। কোন এক পর্যায়ে অসীম জ্ঞান এর মালিক সিদ্ধান্ত নিলেন, তিনি সৃষ্টি করবেন।
একে একে সম্ভাবনার জগত থেকে বাস্তবতার জগতে নিয়ে আসতে লাগলেন তাঁর প্রথম সৃষ্টিগুলোকে। যেহেতু অসীম জ্ঞানের মালিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সৃষ্টি বলে কিছু থাকবে, তার মানে সৃষ্টির অস্তিত্ব থাকাটাই শ্রেয়। সেই সৃষ্টি ভালো কিছুই করুক বা খারাপ কিছু।
আল্লাহ তার আরশ সৃষ্টি করলেন, পানি সৃষ্টি করলেন, কলম সৃষ্টি করলেন, এবং সেই কলমকে আদেশ করলেন লেখ। কলম বলে বসল, আমার রব আমি কি লিখবো? আল্লাহ বললেনঃ সময়ের শেষ পর্যন্ত, অর্থাৎ কিয়ামত পর্যন্ত যা কিছু ঘটবে সব কিছু লিখো। আরশ শব্দের অর্থ আসন। আসন, পানি, কলম এই শব্দগুলোর অর্থ আমরা জানি। কিন্তু আল্লাহর সেই আরশ, সময়ের শুরু সেই পানি এবং সবকিছুর নিয়তি লেখা সেই কলম কেমন তা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়, এবং একমাত্র আল্লাহর কাছে পরিপূর্ণ জ্ঞান রয়েছে। মহাবিশ্ব তৈরির ৫০ হাজার বছর আগে আল্লাহর হুকুমে, সেই কলম সবকিছু নিয়তি লিখে রেখেছিল লাওহে মাহফুজে। ৫০ হাজার বছর পর আল্লাহ আসমান এবং যমীন সৃষ্টি করলেন।
অতঃপর কোন এক পর্যায়ে আল্লাহ সৃষ্টি করলেন ফেরেশতাদের, নূর থেকে তৈরি আল্লাহর অপূর্ব সৃষ্টি প্রকৃতিগতভাবে আল্লাহর এবাদত নিমজ্জিত থাকে, এবং আল্লাহর হুকুম অমান্য করে না, এবং তাদের মধ্যে থেকে সর্বপ্রথম এবং সর্বশ্রেষ্ঠ হলেন জিবরাঈল আলাইহিস সালাম। আল্লাহ নূর থেকে ফেরেশতা তৈরি করার পর আরও কিছু সময় পার হলো এবং এরপর এক নতুন জাতি সৃষ্টি করলেন এবং তাদের সৃষ্টি করলেন এক ধরনের ধোয়াবিহীন আগুন থেকে। এই জাতির নাম হল জীন। ফেরেশতা আর জীনদের মধ্যে মূল পার্থক্য হল, জীন জাতি প্রকৃতিগতভাবেই আল্লাহর ইবাদত করে না বরং তারা চাইলে তার হুকুম অমান্য করতে পারে। আল্লাহ জীনদের দুনিয়াতে খালিফা হিসেবে পাঠালেন। আগুন থেকে তৈরি এই সৃষ্টি ছিল উত্তেজনা প্রবণ, তারা ঘনঘন যুদ্ধও খুনাখুনিতে লিপ্ত হতে লাগল এবং দুনিয়াতে অন্যায়-অনাচার ছড়িয়ে পড়লো। কিছু পুণ্যবান থাকা সত্বেও বেশিরভাগ আল্লাহকে অমান্য করতে লাগলো।
কিন্তু একজন ছিল যে বিশেষভাবে আল্লাহর এবাদত করত এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভ করার চেষ্টা করত। এক পর্যায়ে তার এবাদত এর পুরস্কার স্বরূপ আল্লাহ তাকে তার এতটা কাছে আসার অনুমতি দিলেন যে সে ফেরেশতাদের অবস্থানে গিয়ে আল্লাহর এবাদত করার সুযোগ পেলো। অন্যদিকে দুনিয়াতে জীন জাতির অপকর্ম চলতে থাকায় আল্লাহ তা’আলা ফেরেশতাদের হুকুম দিলেন দুনিয়াতে গিয়ে সেই জীনদের বিতাড়িত করার জন্য। এই দায়িত্ব পালন করার জন্য ফেরেশতাদের সাথে পাঠানো হল আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ লাভ করা সেই জীনকেও।
দুনিয়ায় অন্যায় অনাচার সৃষ্টিকারীদের ফেরেশতারা ধ্বংস করল এবং খুব অল্পসংখ্যক জীন রেহাই পেল। আল্লাহর হুকুম পালন করে ফেরেশতারা আসমানে ফিরে আসলো এবং তাদের সাথে সেই পুণ্যবান জীন। এরপর কতটুকু সময় পার হল তা আমরা জানিনা। কিন্তু একপর্যায়ে রাব্বুল আলামীন ঘোষণা দিলেন তিনি এক নতুন জীব সৃষ্টি করবেন। যখন আল্লাহ ঘোষণা দিলেন তিনি মানুষ সৃষ্টি করবেন, ফেরেশেতারা অবাক হয়ে যায়। তারা দেখেছিল স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি সম্পন্ন জীন দুনিয়াতে কত অন্যায়-অনাচার করেছিল, তারা জানত মানুষকেও যদি স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি দেওয়া হয় তাহলে তারাও পৃথিবীতে একিরকম অন্যায়-অনাচারে লিপ্ত হবে। তবু কেন আল্লাহ তাদের সৃষ্টি করবেন। তারা আল্লাহর সিদ্ধান্তের ওপরে প্রশ্ন তুলছিল না বরং তাদের বিস্ময় প্রকাশ করছিল।
আল্লাহ খুব সহজভাবেই বুঝালেন তাঁর কাছে এমন জ্ঞান রয়েছে যা ফেরেশতাদের কাছে নেই, অর্থাৎ মানুষকে সৃষ্টি করার পর তারা দুনিয়াতে নানা অপকর্মে লিপ্ত হলেও তাদের সৃষ্টি করার পিছনে কারণ রয়েছে, এবং শিঘ্রই সেই কারনগুলো পরিষ্কার হয়ে যাবে। অতঃপর আল্লাহ নিজ হাতে আদম আলাইহিস সালাম কে সৃষ্টি করলেন, এবং তাকে সৃষ্টি করলেন মাটি থেকে এবং তার দৈহিক গঠন সম্পন্ন করার পর তাঁর ভেতর রূহ বা আত্মা ফুকে দিলেন। এবং তিনি (আল্লাহ) আদম আলাইহিস সালাম কে সবকিছুর নাম শিখালেন, এবং তিনি ফেরেশতাদের হুকুম দিলেন আদম আলাইহিস সালামকে সেজদা করার জন্য, ফেরেশতাদের আসনে তখন সেই পুণ্যবান জিনেরও জায়গা ছিল। সেই আদেশটি তার ওপরেও প্রযোজ্য ছিল। কিন্তু প্রতিটি ফেরেশতা তাৎক্ষণিকভাবে আদম আলাইহিস সালামকে সম্মান স্বরূপ সেজদা করলেও, সেই জিন তাকে সেজদা করল না। প্রথমবারের মতো কেউ স্বয়ং আল্লাহর উপস্থিতিতে আল্লাহর হুকুম অমান্য করার ধৃষ্টতা দেখালো, এবং সাথে সাথে তারা এতো বছরের ইবাদতের উদ্দেশ্যে প্রকাশ পেল। সে আল্লাহকে বেশি বেশি ইবাদত করার মাধ্যমে আল্লাহর ভালোবাসা কামনা করেনি, কামনা করেছিল মর্যাদা সম্মান।
আগুনের তৈরী হয়ে ইবাদতের মাধ্যমে নূরের তৈরী ফেরেশতাদের মধ্যে জায়গা করে সে এতটা অহংকারী হয়ে গিয়েছিল, যে সে মাটির তৈরি আদম আলাইহিস সালামকে তাকে ছোট করে দেখলো। সে যে গোটা মহাবিশ্বের স্রষ্টা মহান রব্বুল আলামীনের অমান্য করার মাধ্যমে সবচেয়ে অপদস্ত অবস্থানে পৌঁছে গিয়েছিল তা বুঝতে পারল না, এবং হয়ত আল্লাহকে অমান্য করার চেয়েও বড় ভুলটা সে তার পরে করল। সে আল্লাহর রহমত এবং অনুগ্রহের ব্যাপারে হতাশ হয়ে গেল, সে ধরে নিল সে যে ভুল করেছে এর থেকে আল্লাহ তাকে আর কোনদিন ক্ষমা করবেন না। এই হতাশ হয়ে যাওয়াকে আরবিতে বলা হয় আবলাসা, এবং সেই থেকে তার নাম হয়ে গেল ইবলিশ। অতঃপর আল্লাহ তা’আলা ইবলিসকে বিতাড়িত করলেন।
ইবলিসের মনে এত প্রবল হিংসা আর ক্রোধ জন্ম নিল, যে সেই অভিশাপের মুহূর্তেও আল্লাহর কাছে দোয়া করে ফেলল। কিন্তু সে মাগফেরাতের জন্য দোয়া করল না, বরং আল্লাহর কাছ থেকে কিছু সময় রেহাই চাইলো, যেন সে আল্লাহর কাছে প্রমাণ করতে পারে মানব জাতি কতটা খারাপ। এবং মহান রব্বুল আলামীন এত বেশি দয়াশীল তাঁর সৃষ্টিকে তিনি এতটাই ভালোবাসেন যে, তার সরাসরি হুকুম অমান্য করার পর যখন তার কাছেই দোয়া করল, তিনি তার দোয়া কবুল করে নিলেন।
তাহলে আমরা যখন ভুল করে ফেলি বারবার একই গোনায় লিপ্ত হতে থাকি, এবং এরপর মনে করি আমরা অনেক বেশি খারাপ হয়ে গেছি আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করবেন না। আমাদেরকে এমন চিন্তা করার কোনো কারণ রয়েছে।
আল্লাহ আদম আলাইহিস সালামকে জান্নাতে প্রবেশ করালেন, এবং তিনি সেখানে তার রবের নেয়ামত উপভোগ করতে লাগলেন, এবং ইবলিশ গোপনে তাকে ধোঁকা দেয়ার পরিকল্পনা করতে লাগলো।
ইবলিশ যখন বছরের পর বছর আল্লাহর ইবাদত করার পর, এবাদত কারিদের মধ্যে অত্যন্ত সম্মানিত অবস্থানে পৌঁছে যায়। যখন সে আল্লাহর এমন নৈকট্য লাভ করার সুযোগ পায়, যা শুধুমাত্র বিশেষ কিছু ফেরেশতারাই পেয়েছিল। তখন আল্লাহ তাকে আরও একটি বিশেষ ইবাদত করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। তাকে বলেছিলেন আদম আলাইহিস সালামকে সিজদা করতে। কিন্তু সে আল্লাহর আদেশ অমান্য করল, আল্লাহর আদেশ অমান্য করার মাধ্যমে তার এত বছরের এবাদত এর একটি দিক প্রকাশ পেল। তার এত বছরের ইবাদত জুড়েই ছিল আরও মর্যাদা পাওয়ার আকাঙ্খা, নিজের মাহাত্ম প্রমাণের আকাঙ্খা।
আল্লাহ যেহেতু লাতিফুল খবির, তিনি প্রতিটি অন্তরের সবচেয়ে গোপন বিষয়গুলো স¤পর্কে অবগত। তাই তিনি সবসময়ই জানতেন ইবলিসের ইবাদতের গভীরে কেমন উদ্দেশ্য লুকিয়ে রয়েছে। কিন্তু আরহামুর রাহিমীন তাই তিনি ইবলিসকে ধীরে ধীরে তার কাছে টেনে নিয়েছেন, তাকে শ্রেষ্ঠতর সঙ্গীদের সাথে তার রবের ইবাদত করার সুযোগ করে দিয়েছেন। কিন্তু তার অন্তরের অহংবোধ এত প্রবল ছিল সৃষ্টির সেরা ইবাদতকারীদের সঙ্গ পেয়েও তার মধ্যে কোনো পরিবর্তন আসেনি। অতঃপর আল্লাহ তার সামনে এমন এক পরীক্ষা দিলেন যা থেকে পরিষ্কার হয়ে গেল তার অন্তরে আসলে কি ছিল।
যে সত্যিকার অর্থে আল্লাহকে ভালোবেসেছে, একনিষ্ঠভাবে তাঁরই নৈকট্য লাভ করার জন্য ইবাদত করেছে, সে আল্লাহর হুকুম মানার জন্য উৎসুক হয়ে থাকবে আল্লাহ তাকে যে হুকুমই দেন না কেন। ইবলিস যখন আল্লাহর আদেশ অমান্য করল তখন সবার কাছেই এ ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে গেল। তার অন্তরে আল্লাহর আনুগত্যের চেয়ে নিজের পদমর্যাদা প্রাধান্য পেয়েছে, এবং সে এতটাই হতভাগা যে সেই পদমর্যাদার কামনায় নিজেকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিলো। সেই পদমর্যাদা একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর আনুগত্য করলে এমনি তার হয়ে যেত এবং হাজার হাজার বছর পর আজ কত মানুষ সেই একই ধোঁকার মধ্যে পড়ে রয়েছে।
দ্বিতীয়তঃ সামান্য মাটির তৈরি আদম আলাইহিস সালামকে আল্লাহ নূরের তৈরী ফেরেশতা ও আগুনের তৈরী জীনদের সেজদা করতে বললেন কেন? এর বিভিন্ন কারণের মধ্যে একটি হচ্ছে জ্ঞানের মর্যাদা। আল্লাহ আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করার সাথে সাথেই তাকে সিজদা করার হুকুম দেননি। বরং তিনি প্রথমে তাকে শিক্ষা দিয়েছেন, এবং আদম আলাইহিস সালাম সেই শিক্ষা গ্রহণ করার পরই বাকিদের কাছ থেকে সিজদা করার মতো অবস্থানে পৌঁছেছেন।
আল্লাহর রহমতে আদম আলাইহিস সালাম জান্নাতে বাস করতে লাগলেন এবং ইবলিস নিজেকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়ে ওত পেতে বসে থাকলো আদম আলাইহিস সালামকে ফেলার জন্য। অন্যদিকে আদম আলাইহিস সালাম জান্নাতের অগনিত নেয়ামত উপভোগ করতে লাগলেন। কিন্তু বছরের পর বছর পার হয়ে যাওয়ার পর তিনি তার অন্তরে এক নতুন ধরনের অনুভূতি আবিষ্কার করলেন। এই অনুভূতি ছিল একাকীত্ববোধ তিনি ধীরে ধীরে লক্ষ্য করলেন, আল্লাহর জগতে এত এত ফেরেশতা এত এত পশুপাখি কিন্তু তার মত আর কেউ নেই।
অতঃপর আল্লাহ তার জন্য একজন জীবনসঙ্গী সৃষ্টি করলেন, এবং আমাদের মা হাওয়া আলাইহিস সালামের জন্ম হলো এবং তাকে পাওয়ার সাথে সাথে আদম আলাইহিস সালামের নিঃসঙ্গতা দূর হয়ে গেল। এবং আল্লাহ বললেন আদম আলাইহিস সালাম এবং হাওয়া আলাইহিস সালাম এর জন্য আল্লাহ পুরো জান্নাত উন্মুক্ত করে দিলেন এবং শুধুমাত্র একটি গাছের ব্যাপারে তাদের সতর্ক করে দিলেন এবং বললেন এই গাছের কাছে এসো না। এই আদেশকে ঘিরেই ইবলিস তার ফাদ পাততে লাগলো ধাপে ধাপে আদম আলাইহিস সালামকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করতে লাগল এবং অবশেষে সে আল্লাহর কসম খেয়ে বলল সে তাদের সদুপদেশ দিচ্ছে এবং তারা যদি সেই গাছের ফল খায় তারা অমর হয়ে যাবেন ফেরেশতা দের মত হয়ে যাবেন।
আদম আলাইহিস সালাম এবং মা হাওয়া এত পবিত্র পরিবেশে জীবন যাপন করেছিলেন যে, তারা কখনো মিথ্যা কথার সম্মূখীনই হননি আল্লাহর কসম খেয়ে মিথ্যা কথা বলা তো অনেক দূরের কথা।
তারা ইবলিশের ফাঁদে পা দিলেন, এবং সেই নিষিদ্ধ গাছের ফল খেয়ে ফেললেন এবং সাথে সাথেই তারা তাদের নগ্নতার উপলব্ধি করলেন এবং যে আলো দ্বারা তাদের নগ্নতার সুরক্ষিত ছিল সেই আলো নিভে গেল এবং তারা গাছপালা দিয়ে নিজেদের ঢেকে নিলেন এবং আদম আলাইহিস সালাম ও মা হাওয়া সাথে সাথে তাদের ভুল বুঝতে পারলেন এবং যদিও ইবলিস তাদেরকে ফাসিয়েছিল তারা বুঝতে পারলেন। যখন আল্লাহ পরিষ্কার আদেশ করেছিলেন তাদেরকে সেই গাছ থেকে ফল না খাওয়ার জন্য, তখন তাদের ইবলিসের কথায় কান দেয়া উচিত হয়নি এবং তাই এতে তাদেরও দোষ ছিল। এবং তারা আল্লাহর কাছে দোয়া করে বললেন, ‘রাব্বানা জলামনা আনফুসানা অইল্লাম তাগফিরলানা ওয়া তারহামনা লানা কূনান্না মিনাল খাসেরীন’ হে আমাদের রব আমরা আমাদের নাফসের উপর জুলুম করেছি এবং যদি আমাদেরকে আপনি ক্ষমা না করেন এবং আমাদের উপর রহম না করেন তবে নিশ্চয়ই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব এবং এখানে আদম আলাইহিস সালাম এর মধ্যে একটি স্পষ্ট পার্থক্য দেখা যায়।
সংকলনেঃ এম.এ.এস ইমন
প্রকাশক, দৈনিক ‘মেহেরপুর প্রতিদিন’