দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে তিন মাস পূর্বে। কিন্তু তার জের শেষ হয়নি এখনো। মেহেরপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ভোট করার কারনে জনপ্রশাসন মন্ত্রীর পক্ষের নেতাকর্মীরা গ্রামের মসজিদ, ঈদগাহ ও গোরস্তানের কমিটি পুনর্গঠন করতে চাই। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কমিটির দখল নিতে শুরু হয়েছে অধিপত্য বিস্তারের মহড়া। অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতাকর্মীদের মধ্যে সৃষ্ট রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৭ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল সোমবার (১ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৯ টার দিকে সদর উপজেলার রাধাকান্তপুর গ্রামের মাদ্রাসা মাঠের পাশে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাঁধাকান্তপুর গ্রামের আবুল কাশেম মাস্টারের ছেলে শাহরিয়ার লিওন (৩৮), আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা আনসার আলীর ছেলে আরিফ হোসেন, পালু শেখের ছেলে মোছাব আলী এবং নজরুল ইসলাম।
অপর পক্ষের আহতরা হলেন একই গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে আনারুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম ও জামাই ফারুক হোসেন।
আহতদের উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ও মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি শাহরিয়ার লিওনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক।
আহত লিওনের পক্ষের কর্মী সুরজ আলী বলেন, তিন মাস আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। সেই নির্বাচনের জের ধরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনকে গ্রামের মসজিদ, ঈদগাহ ও গোরস্তানের কমিটি থেকে বাদ দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপির নেতাকর্মীরা। তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে এসব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ট্রাক প্রতীকের স্থানীয় কর্মী সমর্থকদের নাম বাদ দিয়ে দিয়েছেন। তারা এলাকায় অধিপত্য বিস্তার করেছে। তারাবি নামাজ শেষে শাহরিয়ার লিওনসহ অন্যান্যরা একটি দোকানে বসে ছিলেন।
এসময় মহসিন আলীর ছেলে ভনা ও ফারুক, আমজাদ হোসেনের ছেলে সেলিম, রেজাউল হকের ছেলে রানা হোসেন ও জাহাঙ্গীর কিতাব আলীর ছেলে মিলটন, মোজাম্মেল হকের ছেলে হামিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন লোক দেশীয় তৈরী অস্ত্র নিয়ে এসে লিওনের সাথে প্রথমে বাকবিতণ্ডা ও পরে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। এসময় উভয় পক্ষের ৭ জন আহত হন।
পরবর্তি পিরস্থিতি শান্ত রাখতে বর্তমানে এলাকায় বিপুল পরিমান পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ কনি মিয়া।