ইউক্রেনজুড়ে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। আজ শুক্রবার রাজধানী কিয়েভসহ উত্তরে খারকিভ, দক্ষিণে ওদেসা ও মধ্যাঞ্চলীয় ক্রিভিহ রিহ শহরেও হামলার ঘটনা ঘটে। জ্বালানি অবকাঠামোয় হামলার কারণে কয়েকটি শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
চলতি সপ্তাহে ইউক্রেনের শহরগুলোয় হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে রাশিয়া। এসব হামলায় দেশটির বেসামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছে কিয়েভ।
হামলার পর খারকিভে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। কিয়েভে তিনটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ক্রিভিহ রিহ শহরে একটি আবাসিক ভবনে হামলার ফলে সম্ভাব্য হতাহতের বিষয়ে সতর্ক করেছেন কর্মকর্তারা।
আরও কয়েকটি শহরে হামলা হয়েছে। গোটা ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার সাইরেন বাজানো হয়। দক্ষিণাঞ্চলীয় মিকোলাইভ শহরের মেয়র ভিতালি কিম বলেন, ৬০টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাশিয়া সীমান্তবর্তী ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলীয় সুমি শহরও বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন। পাশাপাশি মধ্যাঞ্চলীয় পোলতাভা ও ক্রেমেনচুক শহরেও বিদ্যুৎ নেই।
কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিৎসকো বলেন, শহরের তিনটি এলাকায় হামলা হয়েছে। জ্বালানি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পানি সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। কিছু সময়ের জন্য শহরের মেট্রোরেল পরিষেবাও বন্ধ হয়ে যায়।
আঞ্চলিক প্রশাসনের প্রধান ওলেকসি কুলেবা বলেন, ‘ব্যাপকভাবে ইউক্রেনে হামলা’ চালাচ্ছে রাশিয়া।
দক্ষিণে জাপোরিঝঝিয়ায় ১৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে বলে জানা গেছে। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জিতোমির অঞ্চলের কর্মকর্তারা বলেন, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী একই সময় ওই অঞ্চলে রাশিয়া রকেট ও আত্মঘাতী (কামিকাজে) ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
জ্বালানি অবকাঠামোয় রুশ হামলার কারণে লাখো ইউক্রেনীয় বর্তমানে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে। তীব্র শীতের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকায় তারা নিজেদের ঘরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে পারছে না।
রাশিয়ার এ ধরনের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করতে পশ্চিমা মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে কিয়েভ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পাঠানোর পরিকল্পনা চূড়ান্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র: বিবিসি